সে দিন পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় মোর্চার তিন সমর্থকের। ফাইল চিত্র।
ঘটনার পরে কেটে গিয়েছে প্রায় ১১ মাস। গত বছরের জুনে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে গুলি চালানোর ঘটনার তদন্তই শেষ করতে পারল না সিআইডি।
গত বছরের ১৭ জুন মোর্চার মিছিলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দার্জিলিঙের সিংমারি। গুলিতে মৃত্যু হয় মোর্চার তিন সমর্থকের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিআইডি-কে তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু বছর প্রায় ঘুরতে চললেও তদন্ত শেষ হয়নি। পুলিশের গুলিতেই তিন জনের মৃত্যু হয়েছিল কি না, স্পষ্ট হয়নি সেটাও। মোর্চার অভিযোগ, গুলি চালায় পুলিশই।
সিংমারি ছাড়াও দার্জিলিঙে গত বছরের আরও পাঁচটি ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। সেগুলির তদন্তও শেষ হয়নি। তাই সিআইডি আদালতে কোনও ঘটনারই চার্জশিট জমা দিতে পারেনি। গোয়েন্দারা জানান, সম্পূর্ণ ফরেন্সিক রিপোর্ট না-পাওয়ায় তদন্ত শেষ করা যায়নি। সিংমারি, লেবং রোড-সহ হাঙ্গামার বিভিন্ন জায়গায় পুড়ে যাওয়া গাড়ি ও একাধিক বাড়ির ধ্বংসস্তূপ ও ক্ষতচিহ্ন থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। কী ভাবে ওই সব ক্ষতচিহ্ন তৈরি হল, তা জানতে সংগৃহীত নমুনা ফরেন্সিক বিভাগে পাঠানো হয়। ফরেন্সিক রিপোর্ট মিললেই ঘটনার তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট পেশ করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
ভবানী ভবনের খবর, তদন্ত শেষ না-হলেও তদন্তকারীরা নিশ্চিত, সিংমারিতে সে-দিন পুলিশের ছোড়া গুলিতে কারও মৃত্যু হয়নি। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের দাবি, পয়েন্ট আট বোরের গুলিতেই তিন মোর্চা-সমর্থকের মৃত্যু হয়। পুলিশকর্মীরা ওই বুলেট ব্যবহার করেন না। মূলত দেশি রিভলভারে ওই ধরনের কার্তুজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে বলে পুলিশের দাবি। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, সিংমারির ঘটনার ফরেন্সিক রিপোর্ট হাতে এলেই বলা যাবে, কোন গুলিতে ওই তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। ফরেন্সিক বিভাগ সূত্রের খবর, তাদের তরফে কয়েকটি পরীক্ষা বাকি। তা সম্পূর্ণ হলেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে সিআইডি-র কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy