খালি পড়ে আছে ৩১৮৫টি পদ। অথচ নিয়োগ সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে সেই সমস্যা সমাধানের রাস্তা খুলল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে।
বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরামের রাজ্য সভাপতি ইসরারুল হক মণ্ডল জানান, ১৭ মে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ইচ্ছুক মাদ্রাসাগুলি চাইলে ২০১৪ সালে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের নেওয়া পরীক্ষার ভিত্তিতে উত্তীর্ণ ছাত্রদের নিয়োগ করতে পারবে। শুধু তা-ই নয়, ২০১৩ সালের পরীক্ষায় যে-চব্বিশ জন ছাত্র ওয়েটিং প্যানেলে ছিলেন, তাঁদেরও নিয়োগ করা যাবে।
২০০৮ সাল পর্যন্ত রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ হত স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে। বাম সরকার ২০০৮ সালে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন তৈরি করে। তার পর থেকে সেই কমিশনের মাধ্যমেই মাদ্রাসায় নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হত। ২০১৪ সালে ওই কমিশনের বিরুদ্ধে প্রথমে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। কমিশনকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট। সেই রায়ের আগেই কমিশন নিয়োগের পরীক্ষা নিয়েছিল। কিন্তু উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরাম। ৭৭ জন পরীক্ষার্থীও ফল প্রকাশের দাবিতে মামলা করেন।
ইতিমধ্যে রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে প্রায় ৩১৮৫টি পদ খালি হয়। অবশেষে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে শূন্য পদ পূরণের ব্যবস্থা হল। তবে কমিশনের বৈধতার প্রশ্ন নিয়ে এখনও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। সেই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১২ জুলাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy