ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।—নিজস্ব চিত্র।
সপ্তমীর রাতে হাওড়ার ব্যাটরা থানা এলাকার দুর্গাদাস রোডেহাইড্রান্ট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল বছর তিরিশের এক মহিলাকে। ওই দিন গভীর রাতে স্থানীয় বাসিন্দারা হাইড্রান্ট থেকে ওই মহিলাকে উদ্ধার করেন। তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, মহিলার গোটা শরীর ক্ষতবিক্ষত ছিল। প্রায় অর্ধনগ্ন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল তাঁকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা ওই মহিলাকে হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। তদন্তে নামে ব্যাটরা থানার পুলিশ। চিকিৎসকরা বলেন, মহিলাকে ধর্ষণ করার পর তাঁর মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়। সঙ্কটজনক অবস্থায় দু’দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার ভোরে মৃত্যু হয় ওই মহিলার।
তদন্তে জানা যায়, ওই মহিলা উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের বাসিন্দা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ অনুমান করে, হাইড্রান্টের পাশেই একটি বন্ধ কারখানাতে সম্ভবত ওই মহিলা এসেছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে জানান, ওই বন্ধ কারখানাতে এক জন নিরাপত্তা রক্ষী থাকেন। সেই রক্ষীর কাছে বিভিন্ন সময়ে মহিলাদের আসতে দেখেছেন বলে পুলিশকে জানান স্থানীয়রা। সেই সূত্র ধরে ওই কারখানায় হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু, সেই নিরাপত্তা রক্ষী সীমন্ত ঘোষের কোনও হদিশ মেলেনি ওই কারখানায়। শনিবার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি রক্ত মাখা হামানদিস্তা এবং এক পাটি মহিলাদের চটি উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: ক্লাবে-মণ্ডপে ভাঙচুরের জের, উত্তরপাড়ায় তৃণমূল কাউন্সিলরকে রাস্তায় ফেলে মার
আরও পড়ুন: বর্ধমানে জোড়া দুর্ঘটনায় মৃত চার
পুলিশের অনুমান, ওই হামানদিস্তা দিয়েই মাথায় আঘাত করে কারখানার ভিতরে খুন করা হয়েছিল মহিলাকে। তারপর হাইড্রান্টে ফেলে দেওয়া হয়।
শনিবার বিকেলে ব্যাটরা থানার পুলিশ পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী থেকে গ্রেফতার করে সীমন্তকে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে ওই মহিলা সীমন্তর পূর্ব পরিচিত। সেই সূত্রেই মহিলা ওই কারখানায় গিয়েছিলেন। সেখানে মহিলাকে ধর্ষণ করে সীমন্ত। তার পর প্রথমে শ্বাসরোধ করে এবং মাথায় আঘাত করে খুন করে মহিলাকে। কিন্তু কেন খুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy