Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

অঙ্গনওয়াড়ির নেই-চিত্র প্রতীচী রিপোর্টে

• কোথাও পানীয় জল নেই। • কোথাও বা নেই শৌচাগার। • কোথাও আবার পাকা ছাউনি নেই বলে বর্ষায় ঘরে জল পড়ে। • মাথাপিছু শিশুদের খাবারের জন্য বরাদ্দ অর্থ এতই কম যে, একটা ডিম দিলে আর সব্জি দেওয়া যায় না। • অনেক জায়গাতেই চাল সরবরাহ হয় না সময়মতো। • অঙ্গনওয়াড়ি পরিদর্শকদের অভাবে অনেক কেন্দ্রের কাজকর্মে মাসের পর মাস নজরদারির বালাই থাকে না।

প্রতীচী ট্রাস্টের দ্বিতীয় রিপোর্ট প্রকাশ করছেন অমর্ত্য সেন। সোমবার।  নিজস্ব চিত্র

প্রতীচী ট্রাস্টের দ্বিতীয় রিপোর্ট প্রকাশ করছেন অমর্ত্য সেন। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:০৭
Share: Save:

• কোথাও পানীয় জল নেই।

• কোথাও বা নেই শৌচাগার।

• কোথাও আবার পাকা ছাউনি নেই বলে বর্ষায় ঘরে জল পড়ে।

• মাথাপিছু শিশুদের খাবারের জন্য বরাদ্দ অর্থ এতই কম যে, একটা ডিম দিলে আর সব্জি দেওয়া যায় না।

• অনেক জায়গাতেই চাল সরবরাহ হয় না সময়মতো।

• অঙ্গনওয়াড়ি পরিদর্শকদের অভাবে অনেক কেন্দ্রের কাজকর্মে মাসের পর মাস নজরদারির বালাই থাকে না।

পশ্চিমবঙ্গের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে যে এই ধরনের অনেক ‘নেই’-ই নেই, সেই ছবি উঠে এসেছে প্রতীচী ট্রাস্টের দ্বিতীয় ‘চাইল্ড রিপোর্ট’-এ। সোমবার প্রেস ক্লাবে প্রতীচী ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা অমর্ত্য সেন নিজেই পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্পের উপরে তৈরি এই রিপোর্টের উদ্বোধন করেন। সেই সঙ্গে আশা প্রকাশ করেন, যেখানে যা ঘাটতি রয়েছে, তা পূরণ করা হবে। তাঁর কথায়, “এই জিনিসগুলি পাওয়া আমাদের হক, অধিকার। এই রিপোর্ট তৈরির কর্মসূচিতে কিছুটা প্রগতি হয়েছে। তা সত্ত্বেও নানা ঘাটতি রয়েছে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কোথাও জল নেই, কোথাও বা পাকা বাড়ি নেই। সব ঘাটতি কমুক এই আশা করছি। এই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা চলবে। এটাই কাম্য।”

পশ্চিমবঙ্গে এখন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সংখ্যা এক লক্ষ ১৬ হাজার ৩৯০। এর মধ্যে ছ’টি জেলার (বাঁকুড়া, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি) ২২টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ২০১৪ সালে সমীক্ষা চালিয়েছিল প্রতীচী। ট্রাস্টের তরফে মানবী মজুমদার জানান, ২০০৮ সালে যে-সব জেলায় তাঁরা সমীক্ষা চালিয়েছিলেন, ২০১৪ সালে সেই সব জায়গাতেই ফিরে যাওয়া হয়েছিল। এই ছ’বছরে সেখানকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে কতটা উন্নতি বা অবনতি হল, সেটা দেখাই ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ২০০৮ সালে রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার ছিল আর ২০১৪ সালে তৃণমূল সরকার। কাদের আমলে সমস্যা বেশি? সরাসরি জব্যব এড়িয়ে মানবীদেবী বলেন, “এ ভাবে সরকারের নিরিখে দেখা ঠিক নয়। গণতান্ত্রিক কাঠামোয় প্রকল্পটি কতটা কাজ করছে বা সাফল্য পেয়েছে, সেটাই দেখার চেষ্টা হয়েছে। তাতে কিছু ঘাটতিও মিলেছে।”

কী রকম ঘাটতি?

প্রতীচী রিপোর্ট বলছে, পশ্চিমবঙ্গে সাকুল্যে ৫০ শতাংশ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এখনও খাবার জল নেই। মাত্র ৪৫ শতাংশ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের আলাদা রান্নাঘর রয়েছে। প্রায় ৭২ শতাংশ কেন্দ্রে কোনও শৌচাগার নেই। যে-২২টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল, তার প্রতিটিই বিদ্যুৎহীন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

anganwadi pratichi trust amartya sen
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE