টানা তিন দিন ধরে বৃষ্টি। ভিজে জামাকাপড় শুকোতে বারান্দা আর ছাদের প্রতিস্থাপক হয়ে উঠেছে ঘরের এক চিলতে কোণ। জামায় কেমন সোঁদা সোঁদা গন্ধ। ঘরের মেঝেও স্যাঁতসেঁতে। জামকাপড়ে ছত্রাকের বাড়বাড়ন্ত রুখতে রইল সহজ কয়েকটি ঘরোয়া পরামর্শ।
সমাধান:
• জামাকাপড়ের ভাঁজে বা আলমারিতে রাখুন সিলিকা জেল। বাজারে প্যাকেটে কিনতে পাওয়া যায়। আর্দ্রতা শুষে নিতে অনেকটা সাহায্য করে। তবে সিলিকা জেল খুব বিষাক্ত হয়। তাই সাবধানতা মেনেই ব্যবহার করা দরকার।
• যে ডিটারজেন্টে জামাকাপড় ভেজাবেন, তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন ৩/৪ কাপ সাদা ভিনিগার। এর পর ওই মিশ্রণে জামাকাপড় ভেজান। ভিনিগার কাপড় থেকে সোঁদা গন্ধ আর ছত্রাক দুটোই দূর করে।
• লেবুর রস আর নুন দিয়ে একটি গাঢ় মিশ্রণ তৈরি করুন। জামাকাপড়ের যে জায়গায় ছত্রাক হয়েছে, সেখানে লাগিয়ে দিন। তার পর ধুয়ে শুকনো করে নিন।
• ছত্রাক দূরে রাখতে পাতা সমেত নিমের ডাল জামাকাপড়ের মধ্যে রাখতে পারেন।
•আলমারিতে একটি কম ওয়াটের বাল্ব লাগাতে পারেন। বাল্বের আলোয় যে হাল্কা তাপ পাওয়া যাবে, তা আর্দ্রতা শুষে নিতে সাহায্য করে।
• বোরাক্স জাতীয় পাউডার কিনলে, প্যাকেটে লেখা নির্দেশ মতো জলে গুলে নেবেন। তার পর ওই জলে জামাকাপড় ভেজাবেন।
লেদারের জুতোও বর্ষায় শুকনো রাখা বেশ কষ্টের। তার জন্যও কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখবেন:
• ধরুন, বৃষ্টিতে জুতো ভিজে গিয়েছে। প্রথমে কাগজ বা তোয়ালে দিয়ে নোংরা পরিষ্কার করে ঘরের তাপমাত্রায় শুকিয়ে নিন।
• জুতোয় বেশি হিট দেবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
• যে জায়গায় জুতো রাখবেন, তা যেন একদম শুকনো থাকে।
• লেদার ভাল রাখতে লেদার কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন।
জুতোর পাশাপাশি লেদারের ব্যাগও বর্ষায় শুকনো রাখতে হিমশিম খেতে হয়। সে দিক দিয়েও সিলিকা জেলের ব্যবহার বেশ উপযোগী। যে কোনও ক্যামেরার দোকানে পাবেন সিলিকা জেল। আর আর্দ্রতা শুষে নেওয়ার পর এদের রংও পরিবর্তন হয়ে যায়। মনে রাখবেন, যদি লেদার ব্যাগ রোজ ব্যবহার করা হয়, তবে সেটায় ছত্রাক হওয়ার সম্ভাবনা কিন্তু খুব কম।
ভিজে আবহাওয়ায় সাধের
ক্যামেরাকেও সামলে রাখা জরুরি:
• লেন্স শুকনো করে মুছে কাগজে মুড়িয়ে রাখা ভাল।
• লেন্স বাইরের চেয়ে ঘরে পরিবর্তন করাই ভাল। যত কম পরিবর্তন করতে হয়, ততই ভাল।
• ড্রাই ক্যাবিনেট নামের একটি ছোট বৈদ্যুতিন যন্ত্র আছে, যার মধ্যে ক্যামেরা ও লেন্স অনেকটা নিরাপদ তাপমাত্রায় থাকে।
• এ ছাড়া সিলিকা জেল তো আছেই!
তা হলে এবার বর্ষায় আর ছত্রাকের বাড়বাড়ন্তের ভয় রইল না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy