Advertisement
০৭ মে ২০২৪
ছোটগল্প
bengali lieterature

পায়ে পায়ে

শীতকালে সাধারণত কেউই ছাতা বহন করে না। কিন্তু তিনি এক জন পোড় খাওয়া ডেলি-প্যাসেঞ্জার, ব্যাগে ছাতা থেকে অ্যান্টাসিড পর্যন্ত সবই থাকে। মানে, জীবন ধারণের খাতিরে রাখতে হয়।

ছবি: কুনাল বর্মণ

ছবি: কুনাল বর্মণ

দেবব্রত পাল
শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২০ ০০:০৫
Share: Save:

অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ফুলুবাবু। সাতটার লোকালে নেমে স্ট্যান্ড থেকে সাইকেলটা নিয়ে সবে প্যাডেলে চাপ দিয়েছেন, বৃষ্টি শুরু হল।

শীতের ছিঁচকাঁদুনে বৃষ্টি বড় বিরক্তিকর। এক হাতে ছাতা অন্য হাতে সাইকেলের হ্যান্ডেল, তার সঙ্গে টর্চলাইট সামলানো যে কী দুরূহ কর্ম, যে করেছে সে-ই জানে। শীতকালে সাধারণত কেউই ছাতা বহন করে না। কিন্তু তিনি এক জন পোড় খাওয়া ডেলি-প্যাসেঞ্জার, ব্যাগে ছাতা থেকে অ্যান্টাসিড পর্যন্ত সবই থাকে। মানে, জীবন ধারণের খাতিরে রাখতে হয়।

তিনি সাবধানেই সাইকেল চালাচ্ছিলেন। কিন্তু কপালে দুর্ভোগ থাকলে যা হয়! ঘিঞ্জি রাস্তাটা সবে পার হয়েছেন, এই সময় কেউ যেন পিছন থেকে রুক্ষস্বরে হাঁক দিল, ‘‘এই যে দাদা, এই!’’
ফুলুবাবু প্রথমে খেয়াল করেনি, কিন্তু দ্বিতীয় বার আবার একই সুরে আওয়াজ আসতে তিনি পিছন ফিরে তাকালেন। দেখলেন এক জন বয়স্ক ভদ্রলোক, তাঁর বয়সিই হবেন হয়তো, পাতলা চেহারা, টাক মাথা, পরনে মলিন জামা, তাঁর দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, আপনাকেই বলছি। কী রকম ভদ্রলোক মশাই আপনি? গায়ে পা দিয়ে চলে যাচ্ছেন?’’

ফুলুবাবু মনে করতে পারলেন না কখন তিনি এই ভদ্রলোকের গায়ে পা দিয়েছেন। তবু ভদ্রতার খাতিরে বললেন, ‘‘আপনার গায়ে আমার পা লেগেছে?’’

ভদ্রলোক মুখ বেঁকিয়ে খুবই শ্লেষের ভঙ্গিতে বললেন, ‘‘না, না, আপনার পা নয়, আপনার শ্রীচরণ আমার গাত্র স্পর্শ করেছে, আমি ধন্য হয়েছি। গায়ে পা না লাগলে কি আমি মিথ্যে কথা বলছি?’’
ফুলুবাবু বললেন, ‘‘স্যরি দাদা, কিছু মনে করবেন না। এক হাতে ছাতা, টর্চ, সাইকেলের হ্যান্ডেল নিয়ে খানাখন্দ ভর্তি রাস্তা... সম্ভবত আমার অজান্তেই লেগে গিয়েছে।’’

লোকটির এতে শান্ত হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তিনি আরও চেঁচিয়ে উঠলেন, ‘‘স্যরি মানে? গায়ে লাথি মেরে চলে যাবেন আর বলবেন স্যরি? সরকারি চাকরি করেন বলে কি মাথা কিনে নিয়েছেন?’’
ফুলুবাবু অবাক হলেন, তিনি যে সরকারি কর্মচারী, তা এই ভদ্রলোক জানেন। অথচ তিনি মানুষটাকে চেনেন না। অবশ্য চেনার কথাও নয়। তিনি নিজে খুব একটা মিশুকে লোক নন। আদ্যোপান্ত সাদাসিধে, সরল, নির্বিরোধী মানুষ। সকালের ট্রেনে অফিস যান, সাতটার লোকালে ফেরেন। ছুটির দিন বাজার-হাট, দুপুরে ভাতঘুম, বিকেলে পার্কে বেড়ানো, পরের দিন আবার অফিস। কারও সাতে-পাঁচে থাকেন না। ঝামেলা ঝঞ্ঝাটও পছন্দ করেন না। আজও তিনি ব্যাপারটাকে উপেক্ষা করতেই চাইলেন। ডেলি-প্যাসেঞ্জারির সুবাদে তিনি দেখেছেন, কোনও কোনও মানুষ সহজেই কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ফেলে, বদমেজাজি। এদের বেশি গুরুত্ব দিলে চলে না। তিনি তাই সাইকেলের প্যাডেলে আবার চাপ দিলেন।

লোকটি তাতে ভীষণ খেপে গেল। তেরিয়া ভাবে তেড়ে এসে বলল, ‘‘এই যে! চলে যাচ্ছেন যে বড়? আমাদেরকে আপনি মানুষ বলেই মনে করেন না দেখছি! দেব না কি কান সাপটা এক থাপ্পড়!’’
ফুলুবাবু সাধারণত রেগে যান না। রেগে গেলেও বেশি হম্বিতম্বি করতে পারেন না। কিন্তু এখন তাঁর মাথায় রাগ চড়ে গেল। মাথা ঝিমঝিম করতে লাগল। কিন্তু এখন কী করা উচিত, ভেবে পেলেন না।
এ দিকে বাজারের মানুষজন বেশ একটা সময় কাটানোর খোরাক পেয়ে তাঁদের দু’জনকে ঘিরে ধরেছে। তিনি জানেন পাবলিক সেন্টিমেন্ট সব সময় নীচে অবস্থানকারী মানুষের পক্ষ নেয়। তুমি যদি চারচাকায় চাপো, তা হলে নির্ঘাত মোটরবাইকওলা নির্দোষ, আবার তুমি যদি সাইকেলে চাপো, তা হলে পথচারী নির্দোষ। এ ক্ষেত্রেও লোকে তাই ভাবছে নিশ্চয়ই! তিনি চার দিকে তাকিয়ে অসহায় বোধ করলেন। কয়েক মুহূর্ত মাত্র। সহসাই তাঁর মাথায় একটা পাগলামি বুদ্ধি খেলে গেল। সাইকেলটা স্ট্যান্ড করিয়ে রেখে এগিয়ে এলেন। বললেন, ‘‘দাদা, আমি এত রকম করে আপনার কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি, তবু আপনি শান্ত হচ্ছেন না? কী করলে আপনি শান্ত হবেন বলুন? আমি যদি আপনার পায়ে ধরি তা হলে কি আমাকে ক্ষমা করবেন?’’

লোকটি বোধহয় ভাবতেও পারেনি ফুলুবাবু মুখে যে কথা বলেছেন, তা বাস্তবে করতে পারবেন। তাই একই রকম তেরিয়া ভাবে কিছু বলতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ফুলুবাবু সময় না দিয়েই লোকটির পায়ের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়লেন। লোকটি প্রথমটায় চুপ মেরে গেলেন। নির্বাক, হতভম্ব। কিন্তু পর ক্ষণেই তিড়িংবিড়িং করে লাফাতে শুরু করলেন। মুখে যে কী বলছেন বোঝা গেল না, লাফাতে লাফাতেই মুহূর্তের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেলেন।

ফুলুবাবু আর কী করবেন। সাইকেল হাঁকিয়ে বাড়ি ফিরে এলেন। মনটা তাঁর বড় খারাপ হয়ে গেল। রাতে শুয়ে শুয়েও লোকটির আচরণের কথাই ভাবতে থাকলেন। কেন মানুষটি এমন করল তাঁর সঙ্গে? লোকটি কি পাগল? না কি নিঃসঙ্গ? অথবা এই বৃদ্ধ বয়সে যাদের সান্নিধ্য আশা করা হয়, তাদের কাছ থেকে অপমান-লাঞ্ছনা আর দুর্ব্যবহার পেতে পেতে সব কিছুতেই পদাঘাতের আশঙ্কা করেন? সত্যি মানুষ বড় বিচিত্র।

পরের দিন ছিল ছুটির দিন। সারা দিনে সংসারের অনেক কাজই করলেন। কিন্তু ঘুরে ফিরে গত সন্ধের ঘটনাটাই যেন তাঁকে তাড়া করছিল। প্রবল কৌতূহল হচ্ছিল জানতে, লোকটি কেন তাঁর সঙ্গে এমন ব্যবহার করলেন!

বিকেলে চা খেয়ে বাজারের দিকে রওনা দিলেন তিনি। আজ আর সাইকেলে নয়, হেঁটেই। গৌণ উদ্দেশ্য বাজারে কিছু কেনাকাটা, মুখ্য উদ্দেশ্য সেই লোকটির খোঁজ করা। কিন্তু কোথায়ই বা খুঁজবেন! বাজারের ঠিক সেই জায়গাটা আসতেই তাঁর মনটা কেমন কুঁকড়ে গেল। এমন তো হতে পারে, ওই জায়গায় বসেই লোকটা বিকেল কাটায়! দেখা হলে তিনি কী বলবেন? আবার এক চোট ঝামেলার সৃষ্টি হবে না তো? তার চেয়ে দরকার নেই, পাস্ট ইজ় পাস্ট! জীবনে কি সব কৌতূহলের জবাব মেলে?

বাজার থেকে কেনাকাটা সেরে এক্কেবারে শেষে গেলেন মিষ্টির দোকানে। এই দোকানে খুব ভাল নলেন গুড়ের রসগোল্লা পাওয়া যায়। রাতে রুটির সঙ্গে খেতে দারুণ লাগে। ভাগ্য ভাল, এই বয়সেও তাঁর শুগার নেই, তাই শীতকালে এই অমৃতের স্বাদটা নিতে পারেন।

দোকানে কিন্তু আর এক বিস্ময় অপেক্ষা করে ছিল তাঁর জন্য। মিষ্টি কেনার সুবাদে দোকানদার ছেলেটি তাঁর মুখ চেনা। ছেলেটি তাঁকে রসগোল্লা প্যাক করে দিল। এই সময়ে দোকানের ছোকরা কর্মচারীটি বলে উঠল, ‘‘দাদা, এঁর সঙ্গেই গত কাল দাদুর ঝামেলা হয়েছিল।’’

ছেলেটি তাঁর দিকে কিছু ক্ষণ তাকিয়ে রইল। ফুলুবাবু ভাবলেন, আবার কী ঝামেলা হয়। তিনি অবাক হলেন ছেলেটির ব্যবহারে। ছেলেটির চোখে বিস্ময় আর মুগ্ধতা মাখামাখি। সে কাউন্টার ছেড়ে এগিয়ে এসে বলল, ‘‘আপনাকে তো আমি চিনি। আপনিই কালকের সেই মানুষ? দেখুন দিকি কী কাণ্ড!’’

ফুলুবাবুর জীবনে অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার অফুরান, কিন্তু এমন অভিজ্ঞতা কোনও দিন হয়নি। তিনি কিছু বলার আগেই, ছেলেটি তাঁর পায়ে ঢিপ করে প্রণাম করে নিল। তার পর কোনও কথা না বলেই তাঁর হাত ধরে টানতে থাকল, ‘‘জেঠু, আপনাকে এক বার আমাদের ঘরে আসতে হবে।’’
বিস্ময়ে ফুলুবাবুর মুখে কথা এল না, ছেলেটির সঙ্গে এগিয়ে গেলেন সিঁড়ির দিকে। দোতলা বাড়ি। নীচের তলায় দোকান, উপর তলায় সংসার।

ছেলেটি বলল, ‘‘জেঠু, আমি আমার বাবাকে নিয়ে হয়রান হয়ে গিয়েছিলাম। বাবার স্বভাবটা বরাবরই একটু বদমেজাজি আর ইগোসেন্ট্রিক। অবশ্য তাতে অস্বাভাবিক কিছু নেই। কারণ বাবা খুব সাধারণ অবস্থা থেকে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। যাঁরা জ়িরো থেকে হিরো হন, তাঁদের ভিতরে একটা অহংকার থাকে। কিন্তু বাবা মাঝে মাঝে এমন এক-একটা কাণ্ড ঘটান, যা মেনে নেওয়া যায় না। মা যত দিন বেঁচে ছিলেন, তত দিন বাবার সব জুলুম হাসিমুখে সহ্য করেছেন। কিন্তু মা মারা যাওয়ার পর বাবার ব্যবহার যেন সহ্যের বাইরে চলে গিয়েছে। কথায় কথায় ঝগড়া-অশান্তি, পান থেকে চুন খসলে রাগ করে বাড়ি থেকে চলে যাওয়া। জানেন, বাবা আমার নামে থানায় ডায়েরি করে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের কেস ঠুকেছেন! বলুন তো, এত অশান্তি আমি ছেলে হয়ে সহ্য করলেও আমার স্ত্রী কী করে সহ্য করে? গত রাতে আমার স্ত্রীর সন্ধ্যা দেওয়ার সময় উনি সোফায় বসে টিভি দেখছিলেন, সে সময় কী ভাবে যেন ওঁর গায়ে আমার স্ত্রীর পা লেগে যায়। হাতে প্রদীপ ছিল, সেই কারণে সঙ্গে সঙ্গে ওঁকে প্রণাম করা হয়নি, ঠাকুর প্রণাম সেরে এসে করবে।

কিন্তু তার আগেই উনি চরম অশান্তি জুড়ে দিলেন! তার পর রাগ করে বেরিয়ে গেলেন। কিন্তু রাস্তায় বেরিয়ে যে আবার ঝামেলা করবেন ভাবতে পারিনি। তবে আমি অবাক হচ্ছি যে, গত কালের ঘটনার পর থেকে বাবার মধ্যে এক অদ্ভুত পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে।’’

ফুলুবাবু শুধোলেন, ‘‘কী রকম পরিবর্তন?’’

‘‘যে মানুষ সব সময় বাড়ির সকলকে তটস্থ করে রাখত, সে কালকের পর থেকে অদ্ভুত রকম শান্ত হয়ে গিয়েছে। যেন আমার সেই হাঁকডাকওয়ালা বাবা নয়, অন্য কেউ! জেঠু আপনি গত সন্ধ্যায় কী করেছেন, তা আমি শুনেছি। কিন্তু তা যে বাবার মনে এত গভীর ভাবে দাগ কেটে যাবে ভাবতে পারিনি। আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। আমি আপনাকে খুঁজেছি অনেক। কিন্তু কেউ আপনার ঠিকানা বলতে পারেনি। তবে আমি আপনাকে শুধু কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য খুঁজছিলাম না!’’

ফুলুবাবুর অবাক হওয়ার মাত্রা বেড়েই চলেছিল। তিনি জিজ্ঞাসু চোখে তাকালেন।
ছেলেটি বলল, ‘‘বাবা যতই আমাদের সঙ্গে ছেলেমানুষি করুন, ওঁর কষ্ট দেখে তো ছেলে হয়ে চুপ করে থাকতে পারি না।’’

‘‘কিসের কষ্ট?’’

‘‘যে মানুষ সারা দিন সকলকে অতিষ্ঠ করে রাখতেন, তিনি যদি হঠাৎই চুপ হয়ে যান, কারও সঙ্গে একটা কথা পর্যন্ত না বলেন, তা হলে কি সেটা কষ্টের ব্যাপার নয়? আমি চাই আপনি আমার বাবাকে বুঝিয়ে বলুন।’’

ফুলুবাবু বললেন, ‘‘আমি বললে কি উনি শুনবেন?’’

‘‘নিশ্চয়ই শুনবেন। সম্ভবত আপনার ওই কাণ্ডে উনি নিজেকে খুবই ধিক্কৃত ভাবছেন। আপনি বললে উনি নিশ্চয়ই স্বাভাবিক আচরণে ফিরে যাবেন।’’

ফুলুবাবু একটু থমকে দাঁড়ালেন। ছেলেটির বাবার উপর তিনি মনে মনে রুষ্ট হয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু কখন যেন সেই রাগ মিলিয়ে গিয়েছিল। তিনি জীবনে কারও ক্ষতি করেননি, উপকারও করেননি। কিন্তু এখন যখন ছেলেটি তাঁকে এমন ভাবে বলছে, তিনি এক অদ্ভুত আবেগে আপ্লুত হলেন। কেন যেন বার বার তাঁর বেঙ্গালুরু-প্রবাসী ছেলে-বৌমা-নাতির কথা মনে পড়ে গেল, বুকটা টনটন করে উঠল। ছেলেটিকে দেখে মনের গোপনে একটু যেন চোরা ঈর্ষাও হল তাঁর।

তিনি উপরে উঠে এলেন। দেখলেন সেই মানুষটি কেমন জড়োসড়ো হয়ে সোফায় বসে আছে। আগের দিনের সেই তেজ আর নেই, তার বদলে চোখে খেলা করছে বিকেলের ম্লান আলো। তাঁকে দেখে মানুষটি চোখ তুলে তাকালেন, কিছু একটা বলতে গিয়েও থেমে গেলেন। তার পর ইঙ্গিতে তাঁর পাশে বসতে বললেন।

ফুলুবাবু বসলেন। ভেবেছিলেন অনেক কিছু বলবেন। অনেক বোঝাবেন। কিন্তু কী যে হল তাঁর, কিছুই বলতে পারলেন না। চুপচাপ বসেই রইলেন। দেখলেন লোকটি তাঁর দিকে তাকিয়েই আছে। দু’জনের মধ্যে কী ভাবে যেন আদানপ্রদান হয়ে চলেছে কথার স্রোত। সে সব কথা কেউ শুনতে পায় না, কেউ বুঝতেও পারে না। যখন বিকেলের ম্লান আলো এসে চোখে লাগে, সন্ধ্যার অন্ধকার গাঢ় হয়ে ছায়া ফেলতে চেষ্টা করে জীবন-যাপনের লগ্নে, তখনই বুঝতে পারে মানুষ।

ফুলুবাবু অনেক ক্ষণ বসে রইলেন। তার পর এক সময় লোকটির দু’হাত নিজের হাতে তুলে নিয়ে চাপ দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এলেন। সেই সময় কানে এল, লোকটি তাঁকে ডাকছেন, ‘‘ফুলুবাবু, একটু চা খেয়ে যান।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bengali Literature Bengali Short Story
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE