প্রতিবেদন: সৌরভ, চিত্রগ্রহণ: প্রিয়ঙ্কর, সম্পাদনা: বিজন
লকডাউনের সময় তাঁদের বাড়ির উদ্দেশে দীর্ঘ যাত্রা পরিযায়ী শ্রমিকদের হঠাৎই দৃশ্যমান করে তুলেছিল। এ রাজ্য থেকে ও রাজ্য, কর্মক্ষেত্র থেকে বাড়ি বা উল্টো পথে অধিকাংশেরই ভরসা ট্রেনের অসংরক্ষিত কামরা। অসহ্য গরমে, গাদাগাদি, ঠাসাঠাসি করে ট্রেনযাত্রা। রুজির খোঁজে স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিতে বাধ্য হন দিন আনি দিন খাই এই সব মানুষেরা। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে অনেকেই পরিযায়ী শ্রমিক, যাঁরা সংসারের নিশ্চিন্তি ছেড়ে ভিনরাজ্যে ছুটছিলেন পরিবারের মুখে দু’টো ভাতের জোগান দিতে। সংরক্ষিত কামরার যাত্রীদের মৃতদেহ শনাক্ত করা গেলেও, সমস্যা অসংরক্ষিত কামরার যাত্রীদের নিয়ে। অনেকের অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ট্রেনের শুরু ও শেষে অসংরক্ষিত কামরাগুলি থাকায় দুর্ঘটনার অভিঘাত সবচেয়ে বেশি পড়ে সেই সব কামরাগুলির উপরে যাতে সফর করেন সমাজের নিম্নবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষগুলো। বুলেট ট্রেনের যুগে, এ এক অন্য ট্রেন সফর। অসংরক্ষিত কামরায় যাত্রা কী রকম হয়, সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ল আনন্দবাজার অনলাইন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy