প্রতিবেদন: প্রচেতা ও সৌরভ, সম্পাদনা: বিজন
পড়ুয়ামৃত্যুর পর দেড় মাসের মতো সময় পেরিয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে র্যাগিংয়ের অভিযোগ এবং তা প্রতিরোধের উপায় নিয়ে নানা বিতর্কে বার বার উত্তাল হয়েছে ক্যাম্পাস। সদ্য ক্যাম্পাসে বসেছে সিসিটিভি ক্যামেরাও। এর মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি বা ‘ইসি’র বৈঠক। সেই বৈঠকের ৮০টি ‘অ্যাজেন্ডা’র মধ্যে জায়গা পেল না র্যাগিং সংক্রান্ত কোনও বিষয়। প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর তদন্তে অভ্যন্তরীণ কমিটি গড়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি সেই তদন্ত কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। পড়ুয়াদের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংগঠন ‘জুটা’-র দাবি ছিল, এ দিনের বৈঠকে পেশ করতে হবে সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট। কিন্তু সূত্রের খবর, ‘অ্যাজেন্ডা’তে না থাকলেও বৈঠকের ‘জ়িরো আওয়ারে’ সেই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে।
এ দিনের কর্মসমিতির বৈঠকে আলোচনার অন্যতম বিষয় ছিল ক্যাম্পাস ও হস্টেলে ডেঙ্গি প্রতিরোধ। সম্প্রতি যাদবপুরের এক ছাত্রের মৃত্যুও হয়েছে ডেঙ্গি আক্রমণে। সূত্রের খবর, ডেঙ্গি মোকাবিলায় অনলাইন ক্লাসের ভাবনাচিন্তা করছে বিশ্ববিদ্যালয়। রাজভবন সূত্রে খবর, এ ব্যাপারে আচার্য তথা রাজ্যপালের সম্মতিও মিলেছে। এই প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সুপারিন্টেডেন্ট (দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক) পরামর্শ দিয়েছেন যে, পড়ুয়ারা কয়েক দিনের জন্য হস্টেল ছেড়ে দিলে ভাল হয়। কারণ ডেঙ্গি পরিস্থিতি বৃদ্ধি পেলে তা সামাল দেওয়ার মতো পরিকাঠামো আমাদের নেই।” সে ক্ষেত্রে পুজো অবধি অনলাইন ক্লাসের পাশাপাশি হাইব্রিড মডেল (অনলাইন ও অফলাইন মিলিয়ে)-এ ক্লাস করার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য। যদিও এই অনলাইন ক্লাসের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের মধ্য থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy