জগদ্ধাত্রী পুজোর দশমীর রাতে শিবের বিয়ে হয় হুগলি জেলার পাণ্ডুয়ার হড়াল দাসপুর গ্রামে। সেই পুজো ঘিরে মেতে ওঠে হড়াল দাসপুরে আট থেকে আশি বছর বয়স্করা। ওই তিথিতে প্রথা মেনে বিয়ে দেওয়া হয় শিব এবং উমার।
পার্বতীর অন্য এক রূপ জগদ্ধাত্রী। পুরাণে জগদ্ধাত্রীকে উমা, হৈমবতী নাম দেওয়া হয়েছে। জগদ্ধাত্রী আসলে দুর্গা বা পার্বতীর অপর রূপ। হেমন্ত ঋতুতে হয় তাঁর পুজো। হড়াল দাসপুরের এই ‘বিবাহ’ উৎসবে গ্রামবাসীরা হয় বরপক্ষ আর পুজো কমিটি কনেপক্ষ। বর অর্থাৎ শিবকে রাখা হয় গ্রামেরই এক জনের বাড়িতে। সেখান থেকে রাতে পাড়া ঘুরিয়ে মা জগদ্ধাত্রীর মণ্ডপের সামনে নিয়ে এসে সামাজিক অনুষ্ঠান করে বিয়ে দেওয়া হয়। এর পর সকলের থাকে ভূরিভোজের আয়োজন। দশমীর দিন প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয় না। পর দিন ভোররাতে হয় নিরঞ্জন।
জানা যায়, কোনও এক সময় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল গ্রামে। সেই দুর্ভিক্ষ থেকে বাঁচতে বর্ধমানের মহারাজার শরণাপন্ন হয়েছিলেন দাসপুর গ্রামের জমিদার শ্যামাপ্রসাদ চৌধুরী। তখন দাসপুর গ্রামে পুজোর শুরু করেছিলেন বর্ধমানের মহারাজা। বর্ধমানের মহারাজার অনুদানে প্রথম পুজো হয়। সেই থেকে নবমী পুজোয় বলি দেওয়া হয় মহারাজার নামে উৎসর্গ করে। এই পুজোয় মোষ বলি দেওয়ার প্রথা রয়েছে এখনও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy