প্রতিবেদন: সুদীপ্তা, সম্পাদনা: সৈকত
ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণার মামলায় তৃণমূল সাংসদকে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় তাদের দফতরে তলব করেছিল ইডি। সকাল ১০টার একটু পরে সাদা রঙের গাড়ি করে নিজের বাড়ি থেকে বেরোন নুসরত। ১০টা ৪৩ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকেন সাংসদ তথা অভিনেত্রী। হাতে নথি নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে ঢোকেন তিনি।
নুসরত একটি সংস্থায় থাকাকালীন একাধিক প্রবীণ ব্যক্তির সঙ্গে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে আর্থিক প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে এ নিয়ে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা বেশ কয়েক জন অভিযোগকারীকে নিয়ে গড়িয়াহাট থানা এবং সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন কলকাতা পুলিশ এবং ইডির গোয়েন্দারা। তার পরেই কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে নুসরত দাবি করেন, যখন অভিযোগ উঠেছিল, তার অনেক আগেই তিনি ওই সংস্থা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য, কয়েক কোটি টাকা তিনি সংশ্লিষ্ট কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। সেই ঋণের টাকা তিনি কড়ায়-গণ্ডায় শোধ করে দিয়েছেন। এর পর নুসরতকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, তিনি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ঋণ না নিয়ে কেন একটি কোম্পানির তরফ থেকে ঋণ নিলেন? এ কথা শুনেই তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান সাংবাদিক বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।
সোমবার নুসরতের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ফ্ল্যাট প্রতারণা সংক্রান্ত অন্য একটি মামলার শুনানি ছিল নিম্ন আদালতে। এই মামলায় আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাংসদ-অভিনেত্রীকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে না বলে নির্দেশ দেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy