চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রার নাম দেশজোড়া। প্রতি বারই বিসর্জনে থাকে অভিনবত্ব। নিয়ম অনুযায়ী, দশমীর সন্ধ্যায় শুরু হয় বিসর্জনের শোভাযাত্রা। তবে সেই শোভাযাত্রায় অংশ নেয় না এমন প্রতিমাগুলি বিসর্জন দেওয়া শুরু হয় দশমীর সকাল থেকে। মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা বরণের পর চলে সিঁদুর খেলা। তার পর বাজনা সহকারে গঙ্গার ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় প্রতিমা।চন্দননগর রেল স্টেশনের পশ্চিম দিকে বেশ কয়েকটি জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। রেল স্টেশনের পূর্ব দিকে গঙ্গা হওয়ায় পশ্চিম দিকের ওই প্রতিমাগুলিকে বিসর্জন দিতে সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ প্রতিমার আকৃতি বিরাট হওয়ায় চন্দননগর স্টেশনের সাবওয়ে দিয়ে তা নিয়ে যাওয়া যায় না। তাই রেললাইন পার করে প্রতিমা নিয়ে যেতে হয়। এ বার ৩৮ বছরে পা দিল চন্দননগরের সুভাষপল্লি উত্তরপাড়ার পুজো। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ ওই বারোয়ারি পুজো কমিটির সদস্যরা বাঁশের খাঁচায় দড়ি বেঁধে প্রতিমা কাঁধে তুলে রেললাইন ধরে বেশ খানিকটা হেঁটে যান। এর পর রেললাইন পেরিয়ে পূর্ব পাড়ে নিয়ে গিয়ে তা তোলা হয় লরিতে। এই সময়ের জন্য দুটি লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। রেললাইন পার করে জগদ্ধাত্রী প্রতিমা নিয়ে যাওয়া দেখতে ভিড় জমে যায় চন্দননগর স্টেশনে। ওই বারোয়ারি পুজো কমিটির সদস্যদের দাবি, দু’টি লাইনে ১০-১৫ মিনিট বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy