প্রতিবেদন: প্রিয়ঙ্কর
নভেম্বর মাসেই অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। সেই সময় বীরভূমের একটি মামলায় স্থানীয় আদালত অনুব্রতর পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিলে সে যাত্রায় আর তাঁর দিল্লি যাত্রা হয়নি। এই মাসের শুরুতে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আবারও আবেদন করে ইডি। সেই আবেদন মঞ্জুর হলে ইডি আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। সেখান থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য তৎপর হয়ে ওঠেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকেরা। তবে অনুব্রতর দিল্লি যাত্রার দায়িত্ব কার তাই নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয় আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ ও ইডির মধ্যে। শেষ পর্যন্ত আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত মঙ্গলবার তাঁকে রাজ্য পুলিশের তত্ত্বাবধানে কলকাতার কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসার নির্দেশ দেয়। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার শেষে ইডির হেফাজতে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার নির্দেশও দেয় আদালত।
মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ আসানসোল সংশোধনাগার থেকে অনুব্রতের কনভয় কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কনভয়ে ছিলেন এক ইন্সপেক্টর, তিন সাব-ইন্সপেক্টর, ১২জন সশস্ত্র পুলিশকর্মী ও এক জন চিকিৎসক-সহ একটি অ্যাম্বুলেন্স। ১১টা নাগাদ জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় অনুব্রতকে। প্রায় ৩ ঘণ্টা স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর দুপুর ২টোর সময় তাঁকে নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে বেরিয়ে যায় সিআরপিএফ ও ইডির আধিকারিকদের কনভয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy