প্রতিবেদন: প্রচেতা, সম্পাদনা: সুবর্ণা
তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, অয়ন শীলের পর এবং গারদে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে খবর, সুজয়কৃষ্ণের বয়ানে অসঙ্গতির কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অতীতে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার তাপস মণ্ডলই সর্ব প্রথম এই ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা জনসমক্ষে নিয়ে আসেন। অর্থের লেনদেনের বিষয়ে সরসারি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কথা বলেন তাপস মণ্ডল। এরপর একাধিকবার তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তলের গলায়ও শোনা গিয়েছে তাঁর নাম। পরবর্তীতে তদন্ত করতে গিয়ে জানা গিয়েছে, এই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রই এক সময় তৃণমূলের বর্তমান সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থায় চাকরি করতেন। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র নিজেও একাধিকবার উল্লেখ করেছেন ‘সাহেবে’র কথা। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে এই ‘সাহেব’ আসলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে দাবি করেন, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ২০১২ সালে নিউ আলিপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে সংস্থা খুলেছিলেন তার ডিরেক্টর পদে ছিলেন এই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। মঙ্গলবার রাতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতারের পর বুধবার প্রথমে জোকার ইএসআই হাসাপাতালে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। পরে তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। সূত্রের খবর, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকা পয়সার লেনদেনের ক্ষেত্রে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কী ভূমিকা ছিল, তা তদন্ত করে দেখবেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy