প্রতিবেদন: প্রচেতা, সম্পাদনা: শুভাশিস
২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবস পালন। ২২ জুলাই তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ তাঁর বান্ধবীর বাড়িতে ইডি হানা। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর সেদিন রাতেই গ্রেফতার। প্রথমে ইডি হেফাজত তারপর কারাবাস। পরে তাঁকে হেফাজতে নেয় সিবিআইও। ৪ মাসেরও বেশি সময় আলিপুর সংশোধনাগারেই রয়েছেন তিনি। কখনও শারীরিক অসুস্থতা, কখনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়ার সাফাই, একাধিকবার জামিন চেয়েও ‘মুক্তি’ পাননি। ১২ ডিসেম্বরও জামিন চাইলেন, কিন্তু পেলেন না। যে কোনও শর্তে জামিনের আবেদন নাকচ করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আরও ১০ দিনের কারাবাসের নির্দেশ দিল আদালত। ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ৭ জনকেই।
এ দিন আদালতে বিচারকের কাছে নিজেই ‘সওয়াল’ করতে দেখা যায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে। ইডি, সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সবাই সামাজিক ন্যায়ের কথা বলছেন। এখানে আমার চরিত্রহননের কাজ চলছে। কেউ আর মন্ত্রী হতে চাইবেন না। ইডি, সিবিআইকে বসিয়ে দিন। আমি মন্ত্রী— প্রতিদিন এক কথা শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে গেল। আমি বিচার চাই।’’ আরও একধাপ এগিয়ে বিচারকের সামনেই সিবিআইয়ের আইনজীবীর কাছে ‘ষড়যন্ত্রের সংজ্ঞা’ জানতে চান পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy