প্রতিবেদন: প্রচেতা, সম্পাদনা: সুব্রত
পর পর দু’দিন। বুধবারের পর আবারও কুস্তিগিরদের সমর্থনে মিছিলে পা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ময়দানে গোষ্ঠ পালের মূর্তির নীচে এক সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, “ক্রিকেট বোর্ড থেকে শুরু করে সব খেলার মাথায় বিজেপি নেতারা বসে আছেন। আগে নিয়ম ছিল যে রাজনৈতিক নেতারা কখনও কোনও ক্রীড়া সংস্থার চেয়ারম্যান বা প্রধান হবেন না। আমি ক্রীড়ামন্ত্রী থাকার সময় রুল জারি করেছিলাম।” প্রসঙ্গত, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব পদে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় শাহ ও প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। আর কুস্তি সংস্থার প্রধান পদে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ।
মমতা আরও বলেন, “যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করছেন, সেই কুস্তিগিরদের আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। অনেক কষ্ট করে লড়াই করতে গিয়ে দেশের জন্য তাঁরা ঘাম ঝরিয়েছেন। অনেক পরিশ্রম করেছেন তাঁরা। অনেক সময় তাঁরা খেতেও পারেননি।” সভা থেকে ব্রিজভূষণকে গ্রেফতারির দাবি জানান তিনি। ঘোষণা করেন, “আমি আবার তাঁদের সমর্থনে প্রতিনিধিদল পাঠাব। কাউকে না কাউকে প্রতিবাদে সামিল হতে হয়। বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধতে হয়।” প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এক মাত্র মুখ্যমন্ত্রী যিনি কুস্তিগিরদের প্রতিবাদের সমর্থনে পথে নেমেছেন।
বৃহস্পতিবারের কর্মসূচিতে যোগ দেন মনোজ তিওয়ারি, শ্যাম থাপা, দিব্যেন্দু বড়ুয়া, রহিম নবি-সহ বাংলার বেশ কিছু ক্রীড়াবিদ। ছিলেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডানের কর্মকর্তারাও। এ দিন সভা থেকে বাংলার দুই কুস্তিগিরকে চাকরি দেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে গোষ্ঠ পালের মূর্তি থেকে মোমবাতি মিছিল করে ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে যান মুখ্যমন্ত্রী। মিছিল চলাকালীন এক চিত্রসাংবাদিক আহত হলে নিজে তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন মমতা। মিছিল শেষে বাইকে চড়ে ঘটনাস্থল ছাড়েন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy