Advertisement
০২ মে ২০২৪
Kali Puja 2023

কলকাতার জন্ম হওয়ার আগেই প্রতিষ্ঠিত হয় ঠনঠনিয়া কালীমন্দির, এসেছিলেন স্বয়ং রামকৃষ্ণ

লোকচর্চায় রয়েছে, ব্রহ্মজ্ঞান প্রাপ্তির পরেও শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এই মন্দিরে এসে পুজো দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আরাধ্য দেবীকে গানও শুনিয়ে গিয়েছেন তিনি।

প্রতিবেদন: প্রচেতা

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:১৭
Share: Save:

ঠনঠনিয়া কালীমন্দির। কলকাতা যখন আজকের কলকাতা হয়নি, তার অনেক আগেই এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা। জনশ্রুতি রয়েছে, উদয়নারায়ণ ব্রহ্মচারী নামের এক কালীসাধক এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীতে ১৮০৩ সাল নাগাদ নবকলেবরে মন্দিরটির পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন কলকাতার ব্যবসায়ী শঙ্কর ঘোষ। তখনও আজকের কলকাতার জন্ম হয়নি। গোবিন্দপুর এবং সুতানুটি গ্রামের এই অঞ্চলে ছিল ঘন জঙ্গল। শ্মশানের মধ্যে সাধকের হাতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন দেবী সিদ্ধেশ্বরী। মূর্তিটি ছিল মাটির। সেই রূপেই এখনও পুজো চলছে। মন্দিরের রূপ বদলের সময় এখানে প্রতিষ্ঠিত হন পুষ্পেশ্বর শিব। ঘণ্টাধ্বনি ঠনঠন থেকেই লোকমুখে এই মন্দির ঠনঠনিয়া কালীমন্দির নামে পরিচিতি অর্জন করেছে। উত্তর কলকাতার এই মন্দিরে সিদ্ধেশ্বরীকে দর্শন করতে এসেছিলেন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের সেবায়েত গদাধর চট্টোপাধ্যায়। লোকচর্চায় রয়েছে, ব্রহ্মজ্ঞান প্রাপ্তির পরেও শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এই মন্দিরে এসে পুজো দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আরাধ্য দেবীকে গানও শুনিয়ে গিয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE