Advertisement
E-Paper

প্রাথমিকে ইন্টারভিউ হল ১৮৭ জন প্রার্থীর

২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট বা শিক্ষকপদে যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষায় ছ’নম্বরের প্রশ্নে ভুল ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। তা সত্ত্বেও নম্বর না-পাওয়ায় কিছু প্রার্থী মামলা করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:৩৮
১৮৭ জন প্রার্থী ইন্টারভিউ দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে।

১৮৭ জন প্রার্থী ইন্টারভিউ দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে। প্রতীকী ছবি।

যূথবদ্ধ আইনি লড়াইয়ের জেরে তাঁদের চাকরির দরজা খুলছে। তারই প্রাথমিক পর্বে সোমবার সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে ইন্টারভিউ দিতে হাজির হন ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের ১৮৭ জন প্রার্থী। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের ভিত্তিতে এ দিন সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলার ওই সব প্রার্থীর ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে যাচাই করা হয় তাঁদের নথিপত্রও।

২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট বা শিক্ষকপদে যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষায় ছ’নম্বরের প্রশ্নে ভুল ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। তা সত্ত্বেও নম্বর না-পাওয়ায় কিছু প্রার্থী মামলা করেন। হাই কোর্ট ওই পরীক্ষার্থীদের বরাদ্দ নম্বর দিতে বলে। পর্ষদ সেই ছ’নম্বর দিয়েও জানায় যে, তাঁরা চাকরি পাবেন না। কারণ, নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। আবার মামলা করে চাকরিপ্রার্থ প্রার্থীরা দাবি করেন, ওই নম্বর দেওয়া হলে তাঁরা পাশ করে যেতেন এবং যে-হেতু তাঁদের প্রশিক্ষণ নেওয়া আছে, তাই চাকরিও পেতেন। সেই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এই ভুল পর্ষদকেই শোধরাতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের বক্তব্য, দু’বার মামলা করে, সকলে মিলে দীর্ঘ কাল ধরে লড়াই চালিয়ে অবশেষে তাঁরা প্রত্যাশিত ফল পেতে চলেছেন।

টেট নিয়ে ২০১৪ সালে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও লিখিত পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর। ২৩ লক্ষাধিক প্রার্থী পরীক্ষায় বসেন, পাশ করেন এক লক্ষ পঁচিশ হাজার প্রার্থী। যাঁরা পাশ করতে পারেননি, তাঁদেরই কয়েক জন প্রশ্ন ভুল নিয়ে মামলা করেন। তাঁরাই ওই ছ’নম্বরের সুবাদে ইন্টারভিউ দেওয়ার সুয়োগ পেলেন।

প্রশ্ন উঠছে, আবেদনকারী ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীই তো প্রশ্নপত্রের ওই ভুলের শিকার। কিন্তু যাঁরা মামলা করলেন না, তাঁরা তো ইন্টারভিউয়ের সুযোগই পেলেন না। যাঁরা কোর্টে যাননি, তাঁদের একাংশের প্রশ্ন, তাঁরা মামলা করেননি বলেই কি ইন্টারভিউয়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলেন?

শিক্ষা শিবিরের একাংশের বক্তব্য, ওই ছ’নম্বরের প্রশ্নে ভুলের উপরে ভিত্তি করেই ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি শিক্ষকপদে ৪২,৯০০ জন এবং মার্চ থেকে জুলাইয়ে ১৬,৫০০ জন প্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। অর্থাৎ ভুল প্রশ্নের উত্তরের উপরে ভিত্তি করেই টেট উত্তীর্ণ হয়ে তাঁরা এখন স্কুলে চাকরি করছেন।

TET Recruitment Calcutta High Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy