E-Paper

কেরলে কাজে গিয়ে মৃত্যু সাগরের শ্রমিকের

পরিবার সূত্রের খবর, জামালের পরিবারে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে। জামালই ছিলেন প্রধান রোজগেরে সদস্য। সংসারের আর্থিক অনটন মেটাতে বড় ছেলেকে নিয়ে কেরলে কাজের জন্য গিয়েছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:২৩
শোকে ভেঙে পড়েছেন মৃতের পরিবার।

শোকে ভেঙে পড়েছেন মৃতের পরিবার। ছবি: সমরেশ মণ্ডল।

ভিন্ রাজ্যে কাজে গিয়ে ফের মৃত্যু হল বাংলার শ্রমিকের। মৃতের নাম শেখ জামাল (৫১)। বাড়ি সাগরের খানসাহেব আবাদ এলাকায়। সাগর থানার পুলিশের এক আধিকারিক জানান, কেরল পুলিশ এখানকার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে জামালের ঠিকানা-সহ অন্যান্য তথ্য নিয়েছে। ওখানে ময়না তদন্তের পরে দেহ বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় থানা থেকে রিপোর্ট কেরলে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ন’মাস ধরে কেরলের তালসেরি শহরে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করছিলেন জামাল। সঙ্গে গিয়েছিলেন তাঁর বড় ছেলে শেখ মাসুদ। সোমবার দুপুরে কাজের সময়ে জামাল পা পিছলে
ছাদ থেকে পড়ে যান। অন্যান্য শ্রমিকেরা তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। আজ, বৃহস্পতিবার দেহ ফিরবে সাগরের বাড়িতে।

স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্য সন্দীপ পাত্র বলেন, ‘‘এলাকার বিধায়কের অনুমতিতে কেরলের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেহ আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর জন্য ব্লক প্রশাসন থেকে ২৫ হাজার টাকা পরিবারকে দেওয়া হয়েছে। আমরা যোগাযোগ রাখছি।’’

পরিবার সূত্রের খবর, জামালের পরিবারে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে। জামালই ছিলেন প্রধান রোজগেরে সদস্য। সংসারের আর্থিক অনটন মেটাতে বড় ছেলেকে নিয়ে কেরলে কাজের জন্য গিয়েছিলেন। পুজোর সময়ে তাঁদের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। জামালের স্ত্রী মাসুদা বিবি বলেন, ‘‘সংসারটা ভেসে গেল। এখন কী ভাবে সব সামলাবো জানি না।’’ জামালের দাদা শেখ রবি বলেন, ‘‘এখানে কাজ না পেয়ে বাধ্য হয়ে বাইরে গিয়েছিল ভাই। ভিন্ রাজ্যে কাজের সুযোগ, উপার্জন বেশি হলেও শুনেছি কোনও সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। তাই অকালে এ ভাবে ওকে চলে যেতে হল।’’

সন্দীপ বলেন, ‘‘কেন্দ্র সরকার একশো দিনের কাজের টাকা দীর্ঘ দিন বন্ধ করে রেখেছে। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামের দিকে অনেক মানুষ ভিন্ রাজ্যে কাজে চলে যাচ্ছেন।’’ এলাকার বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, ‘‘ক্ষতিপূরণের বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবুও আমরা চেষ্টা করছি কিছু সাহায্য করার জন্য।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Sagar Island

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy