নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে গঙ্গার ফেরিঘাটগুলিতে।
২০১২-এ কমিশনারেট তৈরির পরে ব্যারাকপুরে পুলিশি নজরদারি বাড়াতে থানা ছাড়াও গোয়েন্দা বিভাগ ও স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চকে ঢেলে সাজা হয়েছিল। পুলিশের চিরুনি তল্লাশিতে বীজপুর থেকে দমদম পর্যন্ত স্থানীয় দুষ্কৃতীদের তথ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল ক্রাইম রিপোর্ট। কিন্তু তাতেও অপরাধ কমেনি।
পুলিশের রেকর্ড বলছে, যে সব দুষ্কৃতীরা অপরাধ করে এলাকায় গা-ঢাকা দিয়ে থাকছে, তারা ধরা পড়লেও অন্য জেলার দুষ্কৃতীরা অনেকেই অধরা থেকে যাচ্ছে। সম্প্রতি প্রশাসনিক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘কোনও অপরাধের খবর পাওয়ার পরে রাস্তায় যে ভাবে নাকা করা হয়, তাতে সড়কপথ অনেকটাই পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু জলপথে আমাদের কিছু করার থাকে না। আর ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল পুরোটাই গঙ্গার ধার বরাবর। অসংখ্য ঘাট। ফলে খুব কম সময়েই কমিশনারেটের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে দুষ্কৃতীরা।’’
ব্যারাকপুরের ১৯টি ফেরিঘাটের যাত্রীদের বড় অংশের অভিযোগ, সড়ক বা রেল পরিষেবায় পরিবহণ দফতরের যে নিয়ম মানা হয়, তার ন্যূনতম মানা হয় না জলপথ পরিবহণের ক্ষেত্রে। গরু-ছাগলের মতো যাত্রী বোঝাই করে ছাড়া হয় ভুটভুটি। কোথাও আবার জেটি বলতে একটি ভাঙা নৌকা। বর্ষায় নিত্যদিন দুর্ঘটনা ঘটে পা পিছলে। আরও অভিযোগ, ঘাটগুলির আশপাশে সন্ধ্যা হলেই বসে যায় গাঁজা ও মদের ঠেক।
ফেরিঘাটগুলির অবস্থা নিয়ে সম্প্রতি প্রশাসনিক বৈঠকে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক অন্তরা আচার্য বলেন, ‘‘পরিবহণ আইন মেনেই ফেরিঘাটগুলি চালাতে হবে। নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় জোর দিতে হবে। পুরসভাগুলিকেও বলা হয়েছে তাদের এলাকার ঘাটগুলির সৌন্দর্যায়ন ও সংস্কার করতে।’’