Advertisement
E-Paper

হিন্দু যুবকের সৎকারে  এগিয়ে এলেন রেজাউল

তিলকের বাবা ছিলেন রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার স্টেশন সুপারিন্টেন্ডেন্ট। বাবার মৃত্যুর পরে হারিয়েছিলেন মাকেও। এই দুই মৃত্যুশোক কার্যত দিশাহারা অবস্থা হয় তিলকের।

দিলীপ নস্কর

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৩ ০৯:০৫
সৎকারের পরে রেজাউল (কাছা পরে আছেন)। নিজস্ব চিত্র

সৎকারের পরে রেজাউল (কাছা পরে আছেন)। নিজস্ব চিত্র

বাবা-মাকে হারিয়েছিলেন আগেই। বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল স্ত্রীর সঙ্গে। সে অর্থে কোনও আত্মীয়স্বজনও ছিল না ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিলক রায়ের। কঠিন রোগে শয্যাশায়ী হন এক সময়ে।

তিলকের বাবা ছিলেন রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার স্টেশন সুপারিন্টেন্ডেন্ট। বাবার মৃত্যুর পরে হারিয়েছিলেন মাকেও। এই দুই মৃত্যুশোক কার্যত দিশাহারা অবস্থা হয় তিলকের। এক সময়ে মানসিক ভারসাম্য হারান। বাড়িতে একাই থাকতেন।

গত কয়েক দিন ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন। রবিবার রাতে সে কথা জানতে পেরে তিলকের বাড়িতে যান সমীর, মিন্টু, সুমন, রবি, সৃজন, রেজাউল করিম মল্লিকেরা। পূতিগন্ধময় পরিবেশ থেকে তিলককে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

প্রাণে বাঁচেননি ওই যুবক। রাতেই চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানিয়ে দেন। রেজাউলের নেতৃত্বেই যুবকের দল তিলকের অন্তিমযাত্রায় শামিল হয়। ডায়মন্ড হারবার শ্মশানে আনা হয় দেহ।

কে করবেন অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েন সকলে। সমস্যার সমাধান করেন রেজাউল। সমস্ত রীতিনীতি মেনে অন্ত্যেষ্টির ব্যবস্থা করেন তিনি। ‘কাছা’ও নেন।

রেজাউল বলেন, ‘‘মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমার কর্তব্য। প্রতিবেশী তিলকের দাহকাজ করার মতো আত্মীয়-স্বজন কেউ নেই। তাই ছেলেদের নিয়ে সেই কাজ করেছি।’’ রেজাউলের পাড়া-প্রতিবেশীরাও তাঁর এই কাজকে সমর্থন জানিয়েছেন।

Diamond Harbour Communal harmony
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy