Advertisement
১৭ জুন ২০২৪
Cyclone Remal Update

আকাশের মুখভার, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি, সঙ্গে দমকা হাওয়া, সুন্দরবন এলাকায় রেমাল রুখতে জারি প্রস্তুতি

রেমাল আছড়ে পড়লে কুলতলি ব্লকের কৈখালি, ঘোড়ামারা, মৌসুনি দ্বীপ, সাগরদ্বীপের মতো জায়গাগুলি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আগে থেকেই এই জায়গাগুলিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল।

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। — নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বকখালি শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৪ ১২:৫৮
Share: Save:

ধেয়ে আসছে রেমাল। সুন্দরবন লাগোয়া এলাকায় সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা। বৃষ্টি হচ্ছে, সেই সঙ্গে দমকা হাওয়া। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সব রকম ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। সাগরদ্বীপে পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের একটি বিশেষ দল। নদী তীরবর্তী এলাকায় চলছে প্রশাসনের মাইকিং।

জেলা প্রশাসন মনে করছে, রেমাল আছড়ে পড়লে কুলতলি ব্লকের কৈখালি, ঘোড়ামারা, মৌসুনি দ্বীপ, সাগরদ্বীপের মতো জায়গাগুলি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আগে থেকেই এই জায়গাগুলিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত। পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে রবিবার এবং সোমবার জেলার সমস্ত ফেরিঘাট বন্ধ রাখা হয়েছে। ছুটি বাতিল করা হয়েছে সরকারি দফতরের। বকখালি এবং মৌসুনি দ্বীপে পর্যটকদের সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কাকদ্বীপ মহকুমা শাসকের অফিসে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এ ছাড়া নামখানা ব্লক, পাথরপ্রতিমা ব্লক, সাগর ব্লকে প্রতিটি বিডিও অফিসে একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এ ছাড়া পঞ্চায়েতগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে। জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত জানান, প্রতিটি ফ্লাড সেন্টারে খাওয়ার ব্যবস্থা থেকে বিদ্যুৎ না থাকলে বিকল্প জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুকনো খাবার মজুত করা হয়েছে, বেবি ফুড, মোমবাতি এবং পানীয় জলের পাউচেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় যে সমস্ত স্কুলবাড়ি রয়েছে সেখানেও যাতে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রয়োজনে আশ্রয় নিতে পারেন, তার জন্য পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। একই ভাবে আলিপুরে জেলাশাসকের দফতরেও খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। কেউ কোনও সমস্যায় পড়লে টোল ফ্রি ১৮০০ ৫৩ ২৫ ৩২৮ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।

NDRF team reached Sagardwip

সাগরদ্বীপে পৌঁছে গিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। — নিজস্ব চিত্র।

অন্য দিকে, ক্যানিং মহকুমার গোসাবা, বাসন্তী, ঝড়খালিতে সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। সঙ্গে চলছে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে বারুইপুর মহকুমার কুলতলি ব্লকেও। কুলতলির মৈপিঠ ও কৈখালিতে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। ঘন ঘন মাইকিং করা হচ্ছে এলাকায়। মৎস্যজীবীদের নদীতে নামতে আগেই বারণ করা হয়েছিল। সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে ফেরি পরিষেবা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE