অলিতে-গলিতে বাজি কারখানা। বেশির ভাগই অবৈধ। লাইসেন্স বা অন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের হদিস নেই। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল এবং নৈহাটি-লাগোয়া আমডাঙায় এই সংখ্যাটা প্রায় হাজারখানেক, জানাচ্ছেন স্থানীয় মানুষ জন। সঠিক পরিসংখ্যান নেই পুলিশ-প্রশাসনের কাছে। তবে এখান থেকে সারা রাজ্যে বাজি সরবরাহ হয়, তা জানেন প্রশাসনের কর্তারা। তারপরেও নজরদারির অভাব।
নৈহাটির বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পরে স্থানীয় স্তরে দাবি উঠছে, বাজি কারখানাগুলিকে এ বার তা হলে সরকারি অনুমোদন দেওয়া হোক। তাতে নজরদারিতে যেমন সুবিধা হবে, তেমনই সরকারি কোষাগারও ভরবে। কারখানার মালিকেরাও শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে বাধ্য হবেন। প্রয়োজনে শিল্পাঞ্চলের খালি জমিতে এ ধরনের বাজি হাবও করা যেতে পারে।
সম্প্রতি নৈহাটির দেবক গ্রামে একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ঘটনায় আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় পাঁচ জনের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফি বছরই কোনও না কোনও বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। গত পাঁচ বছরে বাজি কারখানাগুলিতে অন্তত পাঁচটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যেগুলিতে প্রাণহাণি হয়েছে। বছর তিনেক আগে দেবক গ্রামেই অন্য একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছিল। সেই ঘটনাতেও চার জনের মৃত্যু হয়েছিল। তারপরেও বন্ধ হয়নি অবৈধ বাজি কারখানা।