Advertisement
E-Paper

হাবরায় মিলল ডেঙ্গির জীবাণু

সোমবার সকাল থেকে পুরসভার পক্ষ থেকে শ্রীনগর এলাকায় মশা মারার তেল স্প্রে করা হচ্ছে। ব্লিচিং, চুন ছড়ানো হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষকে বোঝাচ্ছেন মশার আক্রমণ নিয়ে সচেতন করছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৭ ০৩:০৯
লার্ভা আছে কিনা দেখছে স্বাস্থ্য দফতর। ছবি: শান্তনু হালদার

লার্ভা আছে কিনা দেখছে স্বাস্থ্য দফতর। ছবি: শান্তনু হালদার

হাবরা শহরে মিলল ডেঙ্গির সন্ধান।

পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীনগরের বাসিন্দা তপন বসুর রক্তে মিলেছে ডেঙ্গির জীবাণু। পুরসভার পক্ষ থেকে ওই এলাকায় নতুন করে মশা মারার পদক্ষেপ শুরু হয়েছে জোর কদমে।

পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীনগর এলাকার বাসিন্দা, পেশায় ল্যাব সেন্টারের কর্মী তপনবাবু মঙ্গলবার জ্বরে আক্রান্ত হন। প্রথমে বাড়িতে জানাননি। রবিবার জ্বর অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় পরিবারের লোকজন তাঁকে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। সোমবার দুপুরে একটি সরকারি ল্যাব থেকে রক্তের পরীক্ষা করানো হয়। সেখানে জানা যায়, তাঁর শরীরের ডেঙ্গির জীবাণু আছে। পুরপ্রধান নীলিমেশ দাস বলেন, ‘‘সোমবার ওই রোগীকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’

সোমবার সকাল থেকে পুরসভার পক্ষ থেকে শ্রীনগর এলাকায় মশা মারার তেল স্প্রে করা হচ্ছে। ব্লিচিং, চুন ছড়ানো হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষকে বোঝাচ্ছেন মশার আক্রমণ নিয়ে সচেতন করছেন। দুপুরে তপনবাবুর বাড়িতে যান পুরসভার মেডিক্যাল অফিসার মানস দাস। তিনি তপনবাবুর বাড়ি ঘুরে দেখেন। দেখা যায়, কলের পাশে নালার জলে মশার লার্ভা ভাসছে। পুরসভার পক্ষ থেকে ওই লার্ভা সংগ্রহ করা হয়েছে।

এমনিতেই হাবরা শহরে মশার উপদ্রব বেশি। তার উপরে ডেঙ্গি ধরা পড়ায় উদ্বিগ্ন মানুষ। অনেকে দিনের বেলাতেও এ বার থেকে মশারি টাঙানোর কথা ভাবছেন বলে জানান।

গত বছরও হাবরা শহরে ডেঙ্গি ছড়িয়েছিল। তাই এ বার আগে থেকে পুরসভার পক্ষ থেকে শহরের নিকাশি নালা পরিষ্কার, বন-জঙ্গল সাফাই, মশা মারার তেল-ব্লিচিং-চুন ছড়ানোর কাজ শুরু হয়েছিল। শহরবাসীর অভিযোগ, নিকাশি নালা পরিষ্কার না হওয়ার কারণেই মশার উপদ্রব বাড়ে এখানে। এ বার অবশ্য পুরসভার পক্ষ থেকে ৫০ জনের একটি দল বানিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়মিত নালা সাফাই করা হয়েছে বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের। পুরপ্রধান বলেন, ‘‘মহিলা স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়ে ৯৮ জনের একটি টিম তৈরি করা হয়েছে। তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশার লাভা সংগ্রহ করছেন। সাধারণ মানুষকে বোঝাচ্ছেন।’’

পুরপ্রধানের দাবি, ইতিমধ্যে মহিলা কর্মীরা প্রতিটি বাড়িতে ছ’বার করে ঘুরে এসেছেন। তাঁর মতে, মানুষকেও সচেতন হতে হবে। বাড়িতে জল জমতে না দেন, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

Dengue Habra হাবরা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy