আক্রান্ত: বাগদা হাসপাতাল। নিজস্ব চিত্র
প্রথমে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর। সঙ্গে পেটে যন্ত্রণা, পাতলা পায়খানা ও বমি।
গত কয়েক দিন ধরে বাগদা থানার বয়রা পঞ্চায়েতের হরিতলা ও সংলগ্ন এলাকার জ্বরের প্রকোপ ছড়িয়েছে। এমন কোনও পরিবার নেই, যেখানে কেউ না কেউ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। কাজকর্ম বন্ধ। দেরিতে হলেও পরিস্থিতির কথা জানতে পেরেছে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর। তারা জানাচ্ছে, জ্বরে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় দেড়শো। অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যেই দুই গ্রামবাসী মারা গিয়েছেন।
জ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে বাগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণুও মিলেছে। মঙ্গলবার ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল এলাকায় গিয়ে জ্বরে আক্রান্তদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব মল্লিক বলেন, ‘‘রক্তের নমুনা বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে দু’জন মারা গিয়েছেন। মেডিক্যাল ক্যাম্প বসানো হয়েছে।’’ তবে সোমবার বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে শুভঙ্কর হালদার নামে যে বছর সতেরোর কিশোরের মৃত্যু হয়েছে, তার এনসেফেলাইটিস হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রণববাবু। মৃত অন্যজনের নাম অভিজিৎ প্রামাণিক (৩৫)। শনিবার বাগদা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান তিনি। তবে কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা জানা যায়নি। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রণববাবু। তবে দু’জনেরই জ্বর ছিল বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।
স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে গ্রামের মানুষকে বলা হয়েছে, জ্বর হলে সরাসরি তাঁরা যেন বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চলে যান।
রত্না সাহা নামে এক মহিলার ছেলে বছর একুশের বাপি বাগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রত্নাদেবী জানালেন, রবিবার ছেলের জ্বর এসেছিল। জ্বর কখনও কমছে, কখনও বাড়ছে। মঙ্গলবার জ্বর বেড়ে যাওয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসতে হয়েছে। জ্বরের সঙ্গে পেটে ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা ও বমিও হচ্ছে। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পঞ্চায়েতে প্রধান সবিতা বিশ্বাস বলেন, ‘‘বুধবার থেকে এলাকায় ব্লিচিং পাউডার, মশা মারার তেল ছড়ানোর কাজ শুরু হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy