Advertisement
০৫ মে ২০২৪

দাদাদের দেওয়া কম্পিউটারে পড়বে খুদেরা

সেই সব প্রাক্তনীদের হাত ধরে স্কুলে তৈরি হল ডিজিটাল ক্লাস। কম্পিউটারের মাধ্যমে পর্দায় ছবির প্রজেকশনের সাহায্যে ছবি দেখে বিশ্বকে জানতে পারবে খুদে পড়ুয়ারা। ব্ল্যাক বোর্ডের বদলে অনেক মনোগ্রাহী হবে পড়াশোনা।

পাঠ: পর্দায় পড়াশোনা। নিজস্ব চিত্র

পাঠ: পর্দায় পড়াশোনা। নিজস্ব চিত্র

নির্মল বসু
বসিরহাট শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৭ ১৩:১৪
Share: Save:

শিকড়ের পূর্বাশ্রমের কথা ভোলেননি ওঁরা। অস্বীকার করেননি শিকড়ের টান।

সেই সব প্রাক্তনীদের হাত ধরে স্কুলে তৈরি হল ডিজিটাল ক্লাস। কম্পিউটারের মাধ্যমে পর্দায় ছবির প্রজেকশনের সাহায্যে ছবি দেখে বিশ্বকে জানতে পারবে খুদে পড়ুয়ারা। ব্ল্যাক বোর্ডের বদলে অনেক মনোগ্রাহী হবে পড়াশোনা। দেশ-বিদেশের শিক্ষামূলক বহু কিছু অডিও-ভিস্যুয়াল মাধ্যমে জানতে পারবে তারা।

বাদুড়িয়ার বাজিতপুর পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীনাথপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ইছামতী। প্রায় ৭৫ বছর আগে গ্রামের মানুষের উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল লক্ষ্মীনাথপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। মাত্র তিনটি ঘর নিয়ে এখনও চলছে স্কুল। পড়ুয়ার সংখ্যা ৭২। পড়ান তিন জন শিক্ষক।

দিন কয়েক আগে স্কুলের ৭৫ বছর পূর্তি উৎসবে অনুষ্ঠানের খরচ বহন করতে যেমন এগিয়ে এসেছেন গ্রামবাসী, তেমনই স্কুলের একটি ডিজিটাল ক্লাস গড়তে কয়েক লক্ষ টাকা সাহায্য করেছেন দুই প্রাক্তনী। এসেছে ৩টি কম্পিউটার, প্রোজেক্টর।

অরিন্দম বিশ্বাস এবং মণিশঙ্কর রায় নামে ওই দুই প্রাক্তনী জানালেন, যে স্কুলে তাঁদের পড়াশোনার ভিত্তিটুকু তৈরি হয়েছে, সেই স্কুলকে আধুনিক করে গড়ে তোলাই তাঁদের লক্ষ্য। দাদাদের এই ব্যবস্থায় উচ্ছ্বসিত স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া শঙ্খদীপ দাস, আরবিনা খাতুনরা।

দু’দিনের উৎসবের সূচনা করেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক কাজি আব্দুর রহিম দিলু। তিনি বলেন, ‘‘প্রাক্তন ছাত্রেরা যে ভাবে নিজের স্কুলকে সমৃদ্ধ করতে এগিয়ে এলেন, তা সকলের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’’

একটি ঘরের দাবি আছে অভিভাবক, শিক্ষকদের। লিখিত আবেদন করলে বিধায়ক তহবিল থেকে তা করে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানান দিলু।

পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সোমা আড়তদার, উৎসব কমিটির সভাপতি নির্মল বিশ্বাস, বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সভাপতি সোমা মণ্ডল, শিক্ষক দীপক রায়-সহ বহু মানুষ এসেছিলেন অনুষ্ঠানে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক অসীম চৌধুরী এবং উৎসব কমিটির সহ সম্পাদক সুদেশ হালদার বলেন, ‘‘এই স্কুলের বহু ছাত্রছাত্রী সুনামের সঙ্গে আজ দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে রয়েছে। দুই প্রাক্তন ছাত্রের চেষ্টায় স্কুলে ডিজিট্যাল ক্লাস হল। এ জন্য ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার সুবিধা হবে। দুই প্রাক্তনীর জন্য আমরা গর্বিত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

computers Students Digital Class
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE