চাষিদের ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর ধান, আনাজের চাষ হয়। চাষিদের দাবি, প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় গত কয়েক বছর ধরেই চাষ আশানুরূপ হচ্ছে না। সরকারি ক্ষতিপূরণ পেলে উপকার হবে বলে জানান তাঁরা। প্রশাসন সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, এই জেলার চাষিদের জন্য ক্ষতিপূরণ বরাদ্দ হয়নি।
ভাঙড় ১ ও ২ ব্লকে প্রচুর পরিমাণে ধান, আনাজের চাষ হয়। ভাঙড়ের চাষি আনোয়ার আলি বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে চাষে প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে। শস্য বিমার জন্য আবেদন করেও ক্ষতিপূরণের টাকা পাইনি। এ বার আমন ধান বৃষ্টির জল ডুবে গিয়ে ক্ষতি হয়েছে। শস্য বিমা প্রকল্পে ক্ষতিপূরণের জন্য এ বারও আবেদন করে কোনও সাড়া মেলেনি। জানি না আদৌ কোনও ক্ষতিপূরণ পাব কি না।”
নামখানার নান্দাভাঙা এলাকার চাষি অজয় গিরি বলেন, “প্রায় তিন বিঘা চাষের জমি আছে। ইয়াসে জমি নোনা জলে প্লাবিত হয়েছিল। তারপর থেকে আর ওই জমিতে চাষ হয়নি। এ বছরও কিছু দিন আগে পূর্ণিমার কটালে নদীর নোনা জল বাঁধ উপচে ঢুকে যায়। ফলে এ বছরও ওই জমিতে চাষ করা যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ দিলে কিছুটা হলেও উপকার হবে।”
নামখানার দেবনগর এলাকার বাসিন্দা পলাশ বারুই বলেন, “ইয়াসে নোনা জল ঢুকে জমি নষ্ট হওয়ার পর থেকে আর ফলন বেশি হয় না। তবুও চাষ করেছি। ক্ষতিপূরণ পেলে উপকার হবে।”
প্রশাসন সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, মূলত ধান ও ভুট্টা শস্য বিমার আওতায় রয়েছে। এ বছর ঠিক মতো বৃষ্টি না হওয়ায় রাজ্যের অনেক জায়গায় খরা দেখা দেয়। ফলে চাষিরা ঠিক মতো আমন ধান রোপণ করতে পারেননি। যে সমস্ত ব্লক এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে, কেবলমাত্র সেই সব ব্লকেই চাষিদের শস্য বিমা প্রকল্পে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কৃষি দফতরের এক কর্তা জানান, এই জেলায় ক্ষতিপূরণের খবর নেই। শস্য বিমা প্রকল্পে জেলার কোনও চাষির জন্য ক্ষতিপূরণের টাকা বরাদ্দ করা হয়নি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)