Advertisement
০৩ অক্টোবর ২০২৩
দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা থেকে শিক্ষা
Fire Crackers Hub

উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় তৈরি হতে চলেছে ‘বাজি হাব’

জেলা পরিষদ সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই বাজি হাবে সুরক্ষিত ভাবে পরিবেশ বান্ধব সবুজ বাজি তৈরি এবং বিক্রি হবে। বাজির প্রতি মানুষের আগ্রহের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত।

An image of Fire Crackers Hub

চৌবেড়িয়ায় এই জমিতেই প্রস্তাবিত বাজি হাব হওয়ার কথা। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বনগাঁ শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:০৯
Share: Save:

বনগাঁ মহকুমার চৌবেড়িয়া এলাকায় একটি বাজি হাব তৈরির পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী জানান, চৌবেড়িয়া
এলাকায় জেলা পরিষদের অধীনে থাকা ৮ একর জমিতে তৈরি হবে বাজি হাব। জমিটি ইতিমধ্যেই রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প দফতরকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জেলা পরিষদ সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই বাজি হাবে সুরক্ষিত ভাবে পরিবেশ বান্ধব সবুজ বাজি তৈরি এবং বিক্রি হবে। বাজির প্রতি মানুষের আগ্রহের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত। হাবটি তৈরির জন্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ডিপিআর তৈরির কাজ চলছে। নারায়ণ জানান, আগামী বছর উৎসবের মরসুম থেকে হাবটি পুরোপুরি চালু হবে। তবে এ বছর উৎসবের মরসুমেই পুলিশ ও দমকলের উপস্থিতিতে এই হাব থেকে বাজি বিক্রি করা হবে।

যমুনা নদী-সংলগ্ন প্রস্তাবিত বাজি হাব এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, চাষিরা পাটের আঁশ ছাড়িয়ে পাটকাঠি শুকোতে দিয়েছেন। আশপাশের লোকজন শুনেছেন, এখানে বাজি হাব তৈরির পরিকল্পনা চলছে। অনেকেই আশঙ্কায় ভুগছেন। তাঁদের প্রশ্ন, এখানে বাজি হাব তৈরি হলে দত্তপুকুরের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটবে না তো? প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবশ্য বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রের খবর, দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে জেলায় বাজি তৈরির কারখানার শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। নারায়ণ বলেন, "জেলা ইন্ড্রাট্রি অ্যান্ড কর্মাস অফিসারের তত্বাবধানে বাজি শ্রমিকদের সপ্তাহে দু'দিন করে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে বাজি শ্রমিকদের নিরাপত্তার অভাব থাকবে না।"

জেলা পরিষদ সূত্রের খবর, যে সব বাজি কারখানার সরকারি শংসাপত্র নেই বা শংসাপত্র নবীকরণ করেনি, তারা শিল্পসাথী পোর্টালে গিয়ে আবেদন করতে পারবে। সেখানে কারখানার অবস্থান, আগুন নেভানোর ব্যবস্থা কী আছে তার উল্লেখ করতে হবে। প্রশাসনিক কর্তারা সরেজমিনে তদন্ত করে তারপরে শংসাপত্র দেবেন। জেলা সভাধিপতি বলেন, "কোথাও কোনও শব্দবাজি তৈরি হবে না। সর্বত্র সবুজ বাজিই তৈরি হবে।"

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE