রক্তের জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে এসেছিলেন তপন মণ্ডল। না পেয়ে রক্তের কার্ড জোগাড় করে তাঁকে ছুটতে হল কলকাতায়। অবশেষে সেখান থেকে রক্ত নিয়ে এসে রোগীকে দেওয়া হয় ক্যানিং হাসপাতালে।
রবিবারের ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, গরম ও বর্ষাকালে রোগীর রক্তের প্রয়োজন হলেই এখান থেকে অন্যত্র যেতে হয়। অথচ এই হাসপাতালের নিজস্ব ব্লাড ব্যাঙ্ক রয়েছে। তা-ও আকাল দূর হয় না। হাসপাতালের সুপার অর্ঘ্য চৌধুরী সমস্যার কথা মেনে বলেন, ‘‘এই সময়ে রক্তের সংকট তৈরি হয়। বছরের এই সময়টায় এখন সে ভাবে কোনও রক্তদান শিবির হয় না।’’
এই খবর জানাজানি হতেই ক্যানিং ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পরেশরাম দাস এলাকারই কিছু যুবককে সঙ্গে করে মঙ্গলবার হাজির হন হাসপাতালে। সেখানে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেন তিনি। দিিনের শেষে প্রায় ৬২ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। হাসপাতালে ভর্তি থাকা প্রায় ২০০ জন রোগীর জন্য খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
পরেশরামবাবুর কথায়, ‘‘রোগীদের কথা ভেবেই এই শিবিরের আয়োজন। ভবিষ্যতে যেন হাসপাতালে রক্তের সংকট তৈরি না হয়, সে দিকে নজর রাখা হবে।’’
হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত বছর জুলাই মাসে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে মহকুমা হাসপাতালে চালু হয় ব্লাড ব্যাঙ্ক। এর আগে ক্যানিং মহকুমার অধিকাংশ রোগীকে রক্তের জন্য কলকাতায় ছুটতে হতো। মানুষ সমস্যায় পড়তেন। কিন্তু হাসপাতালে রক্তের জোগান ঠিক মতো না থাকায় মাঝে মধ্যে এখনও সেই সমস্যায় পড়তেই হচ্ছে বলে অভিযোগ।
অর্ঘ্যবাবু জানান, প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা করে ঠিক করা হয়েছিল একটি রক্তদান শিবির করার। কিন্তু সভাপতি নিজেই উদ্যোগ করে তা করে দিয়েছেন। এ জন্য আমরা সকলেই খুশি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধানসভা ভোট উপলক্ষে সমস্ত সরকারি দফতর ব্যস্ত ছিল। ফলে রক্তদান শিবির করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতাল থেকে রক্ত নিয়ে এসে সমস্যার সমাধান করা হয়েছিল।