ঘেরা: ক্যানিংয়ে। নিজস্ব চিত্র
গ্রিলের গেট, তাতে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে মশারি। জানলা দরজাগুলিও মশারি দিয়ে ঘেরা। মশককুল থেকে রেহাই পেতে ক্যানিংয়ে প্রায় অনেক বাড়িই এ ভাবে সাজানো হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে ক্যানিংয়ের দিঘিরপাড় পঞ্চায়েতের গার্লস স্কুল পাড়াতে মশার উপদ্রবে অতিষ্ট বাসিন্দারা। ডেঙ্গির আতঙ্কে ভুগছে মানুষ।
স্বাস্থ্য দফতর বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার বলা হচ্ছে ডেঙ্গি রুখতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এলাকায় নিয়মিত মশা মারার তেল দেওয়া থেকে শুরু করে অনেক কিছুই করা হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি মেনে নিতে নারাজ সাধারণ মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, মশা মারার জন্য অনেক কিছুই করার কথা শুনেছি। কিন্তু এলাকায় তা করা হচ্ছে না। মশা নিধনে এখনও তৎপর নয় প্রশাসন।
ক্যানিং ১ ব্লকের বিডিও নিলাদ্রি শেখর দে বলেন, ‘‘আমরা বিভিন্ন এলাকায় ব্লিচিং, মশা মারার তেল ছড়িয়েছি। আমাদের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কাজ করছেন। তবে নিকাশি ব্যবস্থা খারাপ থাকার কারণে জল জমছে। কয়েক দিনের মধ্যে নিকাশি নালার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।’’ বিশেষজ্ঞরা অবশ্য জানিয়েছেন, ব্লিচিং দিয়ে ডেঙ্গির মশা মারা যায় না।
ডেঙ্গি বা জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে ক্যনিংয়ে। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। বাসিন্দারা জানান, ব্লিচিং ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু তার কোনও গন্ধ নেই। এ দিকে দিন দিন মশার উপদ্রব বাড়ছে।
মেনকা পাত্র নামে এক মহিলা বাড়ির চারদিকে মশারির নেট দিয়ে ঘিরে বসে সেলাই করছেন। মেনকাদেবী বলেন, ‘‘এখানে খুব মশার উৎপাত বেড়েছে। এ ভাবে একটু স্বস্তিতে বসে কাজ করতে পারছি। বেশির ভাগ কাজ বাড়ির থেকে করার চেষ্টা করছি।’’ আরও এক মহিলা বলেন, ‘‘চারদিকে যে ভাবে ডেঙ্গিতে মানুষ মারা যাচ্ছেন। তাতে মশারি না টাঙিয়ে উপায় কী।’’ স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থাও খুব খারাপ। নর্দমার জমা জলে মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে। এর জন্যই জ্বর ও ডেঙ্গি হচ্ছে।
ক্যানিং হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে প্রায় ৭০ জন রোগী জ্বর নিয়ে ভর্তি আছেন। তবে হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে জ্বর থাকলেও ডেঙ্গিতে আক্রান্তের কোনও খবর নেই। তবে তাঁদের দাবি, ঋতু পরিবর্তনের কারণে এই সময় জ্বরের প্রকোপ দেখা দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy