Advertisement
০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
Mangroves Cleared at Gosaba

ম্যানগ্রোভ কেটে কংক্রিটের নির্মাণ, ভেড়ি তৈরির অভিযোগ

এলাকাবাসীর অভিযোগ, গোসাবার চণ্ডীপুর খেয়াঘাট সংলগ্ন বিদ্যাধরী ও মাতলা নদীর এই চর এলাকায় রাতারাতি প্রায় বিঘাখানেক জায়গায় ম্যানগ্রোভ কেটে ফেলা হয়েছে।

ম্যানগ্রোভ কেটে নদীর চরে গড়ে উঠছে কংক্রিটের নির্মাণ।

ম্যানগ্রোভ কেটে নদীর চরে গড়ে উঠছে কংক্রিটের নির্মাণ। —নিজস্ব চিত্র।

প্রসেনজিৎ সাহা
গোসাবা  শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৭
Share: Save:

সুন্দরবনকে রক্ষা করতে ম্যানগ্রোভের গুরুত্ব নিয়ে বার বার সরব হয়েছেন পরিবেশবিদেরা। বিভিন্ন অনুষ্ঠান, কর্মসূচিতে সরকারি, বেসরকারি উদ্যোগে ম্যানগ্রোভ রোপণও করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ম্যানগ্রোভ কেটে কংক্রিটের নির্মাণ ও ভেড়ি তৈরির অভিযোগ উঠেছে গোসাবা ব্লকের বিপ্রদাসপুর পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুরে। সম্প্রতি ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা মহকুমাশাসকের দফতর, বিডিও অফিস-সহ জেলার অন্যান্য প্রশাসনিক স্তরে গণস্বাক্ষর করে প্রতিবাদপত্র দিয়েছেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে গোসাবা ব্লক প্রশাসন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, গোসাবার চণ্ডীপুর খেয়াঘাট সংলগ্ন বিদ্যাধরী ও মাতলা নদীর এই চর এলাকায় রাতারাতি প্রায় বিঘাখানেক জায়গায় ম্যানগ্রোভ কেটে ফেলা হয়েছে। সেখানে ইতিমধ্যে কংক্রিটের নির্মাণও শুরু হয়েছে। অভিযোগ, স্থানীয় দুই প্রভাবশালী সমাজবিরোধীর নেতৃত্বে চলছে এই কাজ। সব দেখেও প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ। নস্থানীয় বাসিন্দা হাফিজুল সর্দার, আলাউদ্দিন মোল্লারা বলেন, “প্রশাসনের নাকের ডগায় এই বেআইনি নির্মাণ চলছে। বিস্তীর্ণ এলাকার ম্যানগ্রোভ কেটে ফেলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের সমস্ত স্তরে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। তবুও প্রশাসন নির্বিকার।’’

এ প্রসঙ্গে বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সর্দার বলেন, ‘‘শাসকদলের মদতেই বিঘার পর বিঘা জমির ম্যানগ্রোভ সাফ হয়ে যাচ্ছে। কোথাও মেছো ভেড়ি, কোথাও কংক্রিটের নির্মাণ। সুন্দরবন জুড়েই ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করে জমি লুট চলছে।’’

অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় অঞ্চল তৃণমূল নেতা তথা বিপ্রদাসপুর পঞ্চায়েতের প্রধান মুন্না সরকারের স্বামী অমরেশ সরকার বলেন, “ম্যানগ্রোভ কেটে কোনও নির্মাণ হচ্ছে না। যাঁরা নির্মাণ করছেন, সেই জমি আগে থেকেই তাঁদের দখলে ছিল। নদীর দিকে কোনও ম্যানগ্রোভ কাটা হয়নি।’’ গোসাবার বিডিও বিশ্বনাথ চৌধুরী বলেন, “মহকুমাশাসকের কাছে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE