Advertisement
E-Paper

দোকানের ট্রেড লাইসেন্স নেই, কিন্তু মজুত অ্যাসিড

অ্যাসিড হামলার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, যত্রতত্র অ্যাসিড বিক্রি করা বেআইনি। যাঁদের অ্যাসিড বা ওই ধরনের বিপজ্জনক দ্রব্য বিক্রির অনুমোদন রয়েছে, তাঁদের নথি রাখতে রাখতে হবে। যাঁরা অ্যাসিড কিনবেন তাঁদের নাম-ঠিকানা লিখে রাখতে হবে। সচিত্র পরিচয়পত্র ছাড়া কোনওমতেই অ্যাসিড বিক্রি করা যাবে না।

সামসুল হুদা

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:১৩
নজরে অ্যাসিড। নিজস্ব চিত্র।

নজরে অ্যাসিড। নিজস্ব চিত্র।

অ্যাসিড হামলার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, যত্রতত্র অ্যাসিড বিক্রি করা বেআইনি। যাঁদের অ্যাসিড বা ওই ধরনের বিপজ্জনক দ্রব্য বিক্রির অনুমোদন রয়েছে, তাঁদের নথি রাখতে রাখতে হবে। যাঁরা অ্যাসিড কিনবেন তাঁদের নাম-ঠিকানা লিখে রাখতে হবে। সচিত্র পরিচয়পত্র ছাড়া কোনওমতেই অ্যাসিড বিক্রি করা যাবে না।

কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই নির্দেশ রয়ে গিয়েছে খাতায়-কলমেই। কয়েক সপ্তাহ আগেই ক্যানিঙের তালদিতে দুই স্কুল ছাত্রীর উপরে অ্যাসিড হামলা হয়। সেই ঘটনার পরে দেরিতে হলেও নড়েচড়ে বসল ক্যানিং মহকুমা প্রশাসন। শনিবার দুপুরে অভিযান চলে ক্যানিং বাজারের কয়েকটি দোকানে। ফলও মিলল হাতেনাতে। অ্যাসিড বিক্রির অনুমতি না থাকলেও বেশিরভাগ দোকান থেকেই মিলেছে সালফিউরিক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিডের বেশ কিছু বোতল। কিছু দোকানের ট্রেড লাইসেন্সও ছিল না।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনের তল্লাশি দলে ছিলেন ক্যানিং থানার ওসি আশিস দাস, ক্যানিং ১ যুগ্ম বিডিও পার্থ রায় প্রমুখ। ক্যানিং বাজারে একটি হার্ডওয়্যারের দোকান থেকে তল্লাশি শুরু হয়। ওই দোকানের অ্যাসিড বিক্রির অনুমতি না থাকলেও সেখান থেকে কয়েক বোতল তীব্র মাত্রার অ্যাসিড পাওয়া যায়। দোকানটিতে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটি সোনার দোকান থেকেও উদ্ধার হয় বেআইনি ভাবে মজুত নাইট্রিক অ্যাসিড। তল্লাশি-দলটি কয়েকটি দোকানে গিয়ে দেখে, তাদের ট্রেড লাইসেন্স পর্যন্ত নেই। আবার কয়েকটি দোকানে ট্রেড লাইসেন্স থাকলেও সেগুলি নবীকরণ করানো হয়নি। এ দিন যে দোকানগুলিতে তল্লাশি চালিয়েছেন আধিকারিকেরা, তাদের কারওরই অ্যাসিড বিক্রির নথিপত্র নেই।

ক্যানিঙের মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, ‘‘যে সব দোকানে বেআইনি ভাবে অ্যাসিড বিক্রি করা হয়, সেগুলিতে আমরা মাঝে মধ্যেই অভিযান চালাই। তালদিতে দুই স্কুল ছাত্রীর উপরে অ্যাসিড হামলার পরে আমরা অভিযানে আরও জোর দিয়েছি। শনিবার কিছু বেআইনি অ্যাসিড উদ্ধার হয়েছে।’’ তবে মহকুমা প্রশাসন থেকে ‘নিয়মিত অভিযানে’র দাবি করা হলেও দিন কয়েক আগেও ক্যানিং, বাসন্তীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গিয়েছিল ভিন্ন ছবি। দোকানে গিয়ে অ্যাসিড চাইতেই সহজেই মিলেছিল লেভেলহীন তীব্র মাত্রার অ্যাসিড। ক্রেতার নাম-পরিচয় জানতেই চাওয়া হয়নি। খোলা বাজারেই পাওয়া যাচ্ছিল নাইট্রিক অ্যাসিড, সালফিউরিক অ্যাসিড। কোনও দোকানেই রেজিস্ট্রার দেখা যায়নি। দোকানদারেরা জানিয়েছিলেন, তাঁদের দোকানে তল্লাশি হয় না। তখন আনন্দবাজারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল ক্যানিং মহকুমা প্রশাসনের সঙ্গে।

তবে দেরিতে হলেও প্রশাসনের এই নড়াচড়ার খবরে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, ‘‘এ বার যেন তল্লাশিটা নিয়মিত হয়। তা হলে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচবে বহু মেয়ে।’’

Acid
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy