যেনতেন প্রকারে শ্রমদিবস তৈরি করে আর ঢাকঢোল পেটানো যাবে না। মহাত্মা গাঁধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্প তথা ১০০ দিনের কাজে কঠোরভাবে স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টি করতে হবে বলে জেলাগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। প্রকল্পের হুগলি জেলা নোডাল অফিসার কমলেশ মন্ডল বলেন, ‘‘স্থায়ী সম্পদ তৈরিতে জোর দিতেই প্রকল্পের গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই পরিবর্তন লাগু হবে জেলায়।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে এতদিন যে কোনও কাজই করে টাকা খরচের সংস্থার ছিল। এ বার কাজের বিশেষ চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়ার পরই সেই কাজ হবে। কোদাল ধরলেই শ্রমিকদের সহজে মজুরি পাওয়ার রেওয়াজেও রাশ টানা হয়েছে। সুরক্ষিত নয় এমন পরিবারই কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। কাজের গুণমান নিয়ে শুধু জবাবদিহি করলেই হবে না, থাকবে দায়বদ্ধতার প্রশ্নও। সর্বোপরি স্থায়ী সম্পদের হালহকিকৎ দিতে ‘জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম’ প্রয়োগ করে যাবতীয় তথ্য ভৌগলিক মানচিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়াও শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে অতীতের ‘ই-এফএমএস’ পদ্ধতি বদলে এন ই-এফএমএস-এর মাধ্যমে হবে। অর্থাৎ আগের মতো রাজ্য সরকারের মাধ্যমে না পাঠিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারই মজুরি প্রদান করবে।
কাজ নির্বাচনের চারটি মুখ্য ক্ষেত্রও বেছে দেওয়া হয়েছে। যেমন কৃষি পুকুর খনন, সমন্বয়ের মাধ্যমে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নির্মাণ, মিশ্রসার তৈরির পরিকাঠামো এবং ব্যাক্তিগত গৃহস্থালী শৌচাগার নির্মাণ। প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিয়েও বিশেষ পদক্ষেপ করা হয়েছে। যেমন রাজ্য ও জেলা পর্যায়ে তদারকি, কাজের ক্ষেত্রে নিয়মিত পরিদর্শন ও প্রতিবেদন। এ ছাড়া কাজের পরিমাপ ভিত্তিক মজুরি প্রদান। কাজে ত্রুটি হলে জরিমানা সহ যে কোন বিচ্যুতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও কথা বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy