গ্রামবাসীদের ক্ষোভ। রবিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
সড়কের উপর দিয়ে চলে গিয়েছে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রেন যাতায়াতের জন্য একটি রেল ব্রিজ। ওই ব্রিজের ঠিক নীচে রাস্তার একশো মিটার লম্বা অংশটির হাল দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ। মূল সড়কের থেকে তুলনায় নিচু হওয়ায় বর্ষায় জল জমে। এলাকার মানুষের যাতায়াত করতে খুবই অসুবিধা হয়। দীর্ঘ দিন ধরে রেল ও পূর্ত দফতরকে জানানো হলেও সড়কের ওই অংশটির হাল ফেরেনি বলে অভিযোগ।
এ বার রাস্তার ওই অংশের সংস্কারের দাবিতে পথে নেমে আন্দোলন শুরু করলেন গ্রামবাসীরা। রবিবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত রাস্তায় আড়াআড়ি বাঁশ লাগিয়ে অবরোধ করা হয়। শেষে পূর্ত (সড়ক) দফতরের কর্তাদের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
ঘটনাটি বনগাঁ থানার সাতভাই কালীতলা এলাকার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ শহর থেকে গাইঘাটার বেড়ি গোপালপুর পর্যন্ত দীর্ঘ ১৬ কিলোমিটার লম্বা রামনগর রোড। সাতভাই কালীতলা এলাকায় ওই সড়কের উপর দিয়েই চলে গিয়েছে রেলব্রিজ। সম্প্রতি বনগাঁ শহর থেকে ওই সড়কের তিন কিলোমিটার অংশ সংস্কারের কাজ চলছে পূর্ত (সড়ক) দফতরের পক্ষ থেকে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাকি অংশের কাজ হলেও ওই একশো মিটার অংশটি বাদ দিয়ে কাজ হচ্ছে। প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা ওই সড়কের বাকি অংশের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ওই একশো মিটার রাস্তা সংস্কার করা না হলে বাকি অংশের কাজ করা যাবে না। ওই অংশের কাজ করতে তাদের কোনও আপত্তি নেই রেলের পক্ষ থেকে লিখিত অনুমতিও এনেছেন গ্রামবাসীরা। তারপরেও কাজ না হওয়ায় তাঁরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
গ্রামবাসীদের বক্তব্য, বর্ষায় যাতায়াত করা যায় না ওই রাস্তা দিয়ে। এখানে কয়েকটি স্কুল রয়েছে। আছে বাজার, বিএসএফ ক্যাম্প। সাতভাই কালীতলায় একটি প্রাচীন কালী মন্দিরে প্রতি বছর পৌষ মাসে ওই লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। কিন্তু রাস্তার ওই অংশটি খারাপ হওয়ায় দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয় সকলকে।
পূর্ত (সড়ক) দফতর সুত্রে জানানো হয়েছে, সড়কের ওই অংশটির তাদের হলেও ওই কাজ করতে হলে রেলের অনুমতি লাগবে। শনিবারই রেলের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীরা ওই অনুমতি নিয়ে এসেছেন। তবে সড়কের ওই অংশটি কত মিটার উঁচু করা হবে, তা রেল বলেনি। রেলের পক্ষ থেকে তা জানাতে হবে। কারণ তা না জেনে রাস্তা উঁচু করে সংস্কার করলে রেলব্রিজের ক্ষতি হতে পারে। রাস্তার ওই অংশের সংস্কার তাঁরা করে দেবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy