নিউ টাউন থেকে বাসে করে স্ত্রী, আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে সোমবার সকালে বাগদার পারমাদনে বনভোজন করতে এসেছিলেন এক যুবক। একটু আশঙ্কায় ছিলেন। অতীতে অভিজ্ঞতা ভাল নয় তাঁর। বন্ধুদের সঙ্গে বনভোজনে এসে চোখের সামনে দেখেছিলেন মদ্যপদের দাপাদাপি। মহিলাদের কটূক্তি করতেও শুনেছিলেন। সোমবার, বড়দিনের বিকেলে অবশ্য বাড়ি ফিরে যাওয়ার আগে বলে গেলেন, ‘‘খুব ভাল ভাবে এ বার বনভোজন করেছি। পুলিশি নিরাপত্তা ছিল। মদ্যপদের হুল্লোড় ছিল না।’’ পারমাদনের বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্যে বনভোজন করতে এসেছিলেন যাঁরা, তাঁদের বেশিই ভাগই এ দিন নিরাপত্তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে গেলেন।
কেমন ছিল এ দিনের পরিবেশ?
দুপুরে অভয়ারণ্যে গিয়ে দেখা গেল, ঢোকার মুখে পুলিশ কর্মীরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ভিতরে পুলিশি সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। তাতে বড় বড় হরফে লেখা, ‘‘অভয়ারণ্যের ভিতরে নেশা করা বা সাউন্ড সিস্টেম বাজানো নিষিদ্ধ।’’ বনভোজনে আসা লোকজনের গাড়ির নম্বর, ফোন নম্বর পুলিশ কর্মীরা লিখে রাখছেন। সন্দেহ হলে গাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছে। কেউ মদের বোতল নিয়ে এসেছেন কিনা, তা দেখা হচ্ছে। টোটোয় চেপে পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ার্সদের অভয়ারণ্যের ভিতরে টহল দিতে দেখা গেল। নিয়ম অনুসারে, বেলা ৩টে পর্যন্ত অভয়ারণ্যের ভিতরে ঢোকা যায়। বিকেল ৪টের মধ্যে বেরিয়ে আসতে হয়। বনভোজন শেষে ফিরে যাওয়ার সময়ে পুলিশ কর্মীরা লিখে রাখা গাড়ির নম্বরগুলি কেটে দিচ্ছিলেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সিআই গাইঘাটা পার্থ সান্যাল। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে এ বারই প্রথম এখানে পুলিশি সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। শীতের মরসুম জুড়ে প্রতি শনি-রবিবার ও ছুটির দিনগুলিতে পুলিশি নিরাপত্তা থাকবে।