Advertisement
০১ মে ২০২৪

জলমগ্ন এলাকায় ডাকাতি

ভাঙনের মুখ যত বাড়ছে। মানুষের মনে আতঙ্কও তত বাড়ছে। ইতিমধ্যে শিশু খাদ্যের অভাবও দেখা দিয়েছে। ভেঙে পড়ছে একের পর এক মাটির বাড়ি।

জল পেরিয়েই যাতায়াত। নিজস্ব চিত্র।

জল পেরিয়েই যাতায়াত। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সন্দেশখালি শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৬ ০১:০৩
Share: Save:

ভাঙনের মুখ যত বাড়ছে। মানুষের মনে আতঙ্কও তত বাড়ছে। ইতিমধ্যে শিশু খাদ্যের অভাবও দেখা দিয়েছে। ভেঙে পড়ছে একের পর এক মাটির বাড়ি।

সন্দেশখালি ২ ব্লকের মণিপুর পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় যখন চলছে এই পরিস্থিতি, তখনই তালতলার এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটল মঙ্গলবার রাতে। দুষ্কৃতীরা গ্রিল ভেঙে ঘরে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে মদন নাথ নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়ির থেকে টাকা ও গয়না নিয়ে চম্পট দেয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

শনিবার বড় কলাগাছি নদীর বাঁধ ভেঙে হঠাৎ গ্রামে নোনা জল ঢোকে। এই ঘটনায় কয়েক হাজার বিঘা মেছোভেড়ির কয়েক কোটি টাকার বাগদা চিংড়ি মাছ নষ্ট হয়ে যায়। সরকার থেকে ত্রাণ শিবিরও খোলা হয়। কিন্তু দুষ্কৃতীদের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে কেউ ত্রাণ শিবিরে যায়নি। মদনবাবু বলেন, ‘‘যে ভয়ে জলের মধ্যেই থেকে গেলাম। ত্রাণ শিবিরে গেলাম না। কিন্তু তাতেও রেহাই মিলল না।’’

প্লাবিত মানুষের বক্তব্য, ভাঙনের চার দিন পরে সরকারি ভাবে ত্রাণ মিলেছে ঠিকই। কিন্তু এখনও শিশু খাদ্যের অভার রয়েছে। পাশাপাশি পশু খাদ্যেও মিলছে না। জ্বালানি কাঠ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বহু বাড়িতে রান্নাও বন্ধ। এলাকায় পানীয় জলও নেই। প্লাবিত হওয়ার কারণে আতাপুর, মণিপুর, ধুচনেখালি, পূর্ব আতাপুর এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। বিষাক্ত সাপ, পোকামাকড় ঘরের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে বলে গ্রামবাসীরা জানান।

কেবল ভাঙন এলাকা নয়, আশপাশের বড় অংশ বাঁধে বড় বড় ফাটল দেখা দেওয়ায় চিন্তিত মানুষ। মহকুমাশাসক নীতিশ ঢালি বলেন, ‘‘ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভাঙন রোধে সেচ দফতরের পক্ষে বাঁধ বাঁধার কাজ শুরু হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Robbery flooded areas
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE