E-Paper

নির্দল প্রার্থীর হয়ে ভোটের প্রচার তৃণমূলের

তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে নির্দেশ মিলেছিল, যাঁরা দলের টিকিট পাবেন না, তাঁরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন। নির্দল হিসেবে দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৩ ০৮:২৩
An image of the campaign

তৃণমূলের দেওয়ালে নির্দল প্রার্থীর প্রচার। —নিজস্ব চিত্র।

ভোটের প্রচার শুরু হতেই দলীয় প্রতীকের সঙ্গে একই দেওয়ালে পঞ্চায়েত সমিতির নির্দল প্রার্থীর নাম ও প্রতীকও আঁকছেন তৃণমূল কর্মীরা। অথচ, পঞ্চায়েত সমিতির ওই আসনে তৃণমূলের টিকিটে যিনি প্রার্থী হয়েছেন, সেই রঞ্জিত হাউলির নাম নেই কোথাও। এই ঘটনায় ফের একবার গোসাবায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল প্রকাশ্যে এল বলে মনে করছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল।

তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে নির্দেশ মিলেছিল, যাঁরা দলের টিকিট পাবেন না, তাঁরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন। নির্দল হিসেবে দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন না। কিন্তু গোসাবা তার ব্যতিক্রম। গোসাবা পঞ্চায়েত সমিতির ১৭ নম্বর আসনে আমতলি পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন রঞ্জিত হাউলি। এই আসনেই নির্দল হিসেবে লড়াই করছেন বিমলকৃষ্ণ মৃধা। এলাকায় বিমল তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত। তিনি মনোনয়ন করলেও দল তাঁকে টিকিট দেয়নি। তাই তিনি নির্দলের হয়ে ট্র্যাক্টর চিহ্নে লড়াইয়ে নেমেছেন। তৃণমূলের তরফে তাঁকে নিয়েই প্রচার চলছে।

গ্রামসভায় তৃণমূল প্রার্থী রঞ্জন মণ্ডল, জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী দুর্গারানি সর্দারের নামের পাশাপাশি একই দেওয়ালে লেখা হচ্ছে নির্দল প্রার্থী বিমলের নাম। সঙ্গে আঁকা থাকছে ট্র্যাক্টর প্রতীক। এলাকায় প্রচারেও এই তিন প্রার্থীকে এক সঙ্গে দেখা যাচ্ছে।

রঞ্জিত বলেন, “আমি বিধায়কের অনুগামী। পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের প্রার্থীরা ব্লকের নেতা অনিমেষ মণ্ডলের অনুগামী। আমার বিরুদ্ধে যিনি নির্দল প্রার্থী হয়েছেন, তিনিও ওই গোষ্ঠীর লোক। সে কারণে দেওয়াল লিখনে আমার নাম নেই। দলের উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি।”

বিমল বলেন, “দলের নির্দেশেই আমি মনোনয়ন জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু টিকিট পাইনি। বিধায়ক অন্য এক জনকে টিকিট দিয়েছেন। মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে আমায় কেউ বলেননি। তাই নির্দল হয়ে লড়াই করছি। আমি দলের দীর্ঘ দিনের কর্মী। তাই অন্যান্য কর্মীরাও আমার পাশে আছেন।”

এলাকার তৃণমূল নেতা তথা বিদায়ী প্রধান রঞ্জন বলেন, “এই ঘটনা বিধায়ক সুব্রত মণ্ডলের জন্যই ঘটেছে। উনি নিজের ইচ্ছে মতো টিকিট বিতরণ করেছেন। আসন ভাগাভাগি নিয়ে উচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশ মানেননি।” এ বিষয়ে বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য না করে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

গোসাবা ব্লক তৃণমূলের নেতা তথা জেলা পরিষদের প্রার্থী অনিমেষ মণ্ডল বলেন, “দলের নির্দেশের আগেই বিধায়ক তাঁর লোকজনকে দিয়ে মনোনয়ন করিয়ে দেন। ফলে টিকিট বিতরণ নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। দলের উচ্চ নেতৃত্ব সমস্যার একটা সমাধান করে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিধায়ক সেই নির্দেশ না মেনে অনেক জায়গাতেই দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন। এখানেও সেটাই ঘটেছে।” বিধায়ক এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তাঁর দাবি, বিষয়টি তিনি জানেন না।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

West Bengal Panchayat Election 2023 TMC election campaigns

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy