টোটোর বদলে ব্যাটারিচালিত ই-রিকশা নিতে হবে। পরিবহণ দফতরের এই নির্দেশে মাথায় হাত পড়েছে টোটো চালকদের।
পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বেআইনি টোটোর বদলে আইনসম্মত ই-রিকশা আনার। জেলা পরিবহণ দফতরের সরকারি সদস্য গোপাল শেঠ বলেন, ‘‘রাজ্য পরিবহণ দফতর থেকে জেলাশাসক ও পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের জানানো হয়েছিল জেলার শহর এবং গ্রামীণ এলাকায় বেআইি টোটোর বদলে ই-রিকশা চালু করার কথা। সেই মতো কাজ শুরু হয়েছে।’’
জেলা পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি প্রাপ্ত বিভিন্ন কোম্পানি এই কাজ করবে। ই-রিকশা কেনার জন্য টোটো চালকেরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণও পাবেন। টোটোর মোটর ও ব্যাটারি তারা নিয়ে নেবে। বিনিময়ে কয়েক হাজার টাকা দেবে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিবহণ আধিকারিক সিদ্ধার্থ রায় বলেন, ‘‘টোটোগুলি বেআইনি। সে কারণে রাখা যাবে না।’’
বনগাঁর টোটো চালকদের সংগঠন মতিগঞ্জ নিমতলা টোটো ইউনিয়নের সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘পরিবহণ দফতরের নির্দেশ মতো বৈঠক করে চালকদের জানিয়ে দেওয়া হয় টোটো কাটাই করে ই-রিকশা নিতে হবে।’’ এর প্রতিবাদে শুক্রবার বনগাঁয় একটি প্রতিবাদ মিছিলও বের করে টোটো চালকেরা। তাঁরা জানান, বছর দু’য়েক ধরে বনগাঁয় টোটো চলছে। কেউ ৬ মাস কেউ ৩ মাস আগে ঋণ করে ধারদেনা করে টোটো কিনেছেন। ফলে এখন তাঁদের পক্ষে নতুন করে টোটো কাটাই করে ই-রিকশা নেওয়া সম্ভব নয়। ওই কাজের জন্য টোটো চালকদের হাজার কুড়ি টাকা জমা দিতে হবে বলেও তাঁরা জানতে পেরেছেন। তাঁদের দাবি, ওই টাকা দেওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ শহরে এখন নম্বর দেওয়া টোটোর সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিনশো। টোটো চালকেরা শুক্রবার পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যের সঙ্গে বৈঠক করেন। শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশ আমাদের মানতে হবে। টোটো চালকদের সমস্যার বিষয়টিও
দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy