Advertisement
০৬ মে ২০২৪

তৃণমূল কর্মী খুনে দুষ্কৃতীরা অধরা, ক্ষোভ গ্রামবাসীদের

তৃণমূল কর্মী খুনের পরে কেটে গিয়েছে চার দিন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আবদুল গফ্ফর মণ্ডল খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকেও গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ বাড়ছে বসিরহাটের ঘোড়ারাস গ্রামে। এলাকার মানুষের বক্তব্য, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বসিরহাট শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ০০:৩৯
Share: Save:

তৃণমূল কর্মী খুনের পরে কেটে গিয়েছে চার দিন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আবদুল গফ্ফর মণ্ডল খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকেও গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ বাড়ছে বসিরহাটের ঘোড়ারাস গ্রামে। এলাকার মানুষের বক্তব্য, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে। দেহ উদ্ধারের পরে ইতিমধ্যে কংগ্রেস নেতা হামিদ বিশ্বাসের মেছোভেড়ির আলাঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় কংগ্রেস কর্মীদের বাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তেরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের তল্লাশি চলছে। খুব শীঘ্রই ধরা পড়বে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাটের ২ নম্বর ব্লকের ঘোড়ারাস গ্রামের বাসিন্দা আবদুল গফ্ফর মণ্ডল এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে সঙ্গী রবিউল মণ্ডলকে নিয়ে মোটর বাইকে করে মেছোভেড়ি সংক্রান্ত আলোচনার জন্য বের হন গফ্ফর। অভিযোগ, সে সময়ে তাঁর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা হামিদ বিশ্বাস-সহ কয়েক জন কংগ্রেস কর্মী। ভোর রাতে ফেরার পথে জনা দশেক দুষ্কৃতী আচমকাই তাঁদের পথ আটকায়। শুরু হয় বোমাবাজি। গুলিও চলে। বাকিরা পালিয়ে গেলেও আটকে পড়েন গফ্ফর ও রবিউল। আহত রবিউল একটি পাঁচিলের আড়ালে লুকিয়ে পড়েন। রবিউল পুলিশকে জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় দুষ্কৃতীরা গফ্ফরকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় বিদ্যাধরী নদীর দিকে। পর দিন থেকে নদীতে জাল ফেলে শুরু হয় দেহের খোঁজ। শনিবার সকালে দক্ষিণ ঘোনার জগপুর গ্রামের কাছে উদ্ধার হয় গফ্ফরের ক্ষতবিক্ষত দেহ।

নিহতের দাদা ছাব্দার মণ্ডল এবং স্ত্রী ফিরোজা বিবি বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলেই ওকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করিয়েছে কংগ্রেসের কিছু নেতা-কর্মী।” এ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাপি পাল, মিজানুর রহমান বলেন, “ঘটনার দিন ঘোড়ারাস-কুলিনগ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের উপপ্রধান হামিদ বিশ্বাস গফ্ফরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান।” ঘটনার সময় পালিয়ে গেলেও হামিদ কেন ওই রাতে কাউকে কিছু জানাননি, সে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা অসিত মজুমদার। হামিদের সঙ্গে অবশ্য চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। অসিতবাবু বলেন, “ভেড়ি এলাকায় টাকা-পয়সা নিয়ে কোনও বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।” তাঁর আরও দাবি খুনের পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

basirhat villegers distraction
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE