Advertisement
০৭ মে ২০২৪

পঞ্চায়েতে তালা, বিক্ষোভ

বেহাল রাস্তার প্রতিবাদে ও আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের দাবিতে দেগঙ্গার চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ অন্যান্য কর্মীদের ঘরে তালা বন্ধ করে সোমবার দুপুর থেকে প্রায় চার ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। সোমবার বিক্ষোভকারীরা ওই পঞ্চায়েত অফিসের বিদ্যুতের মেন সুইচ অফ করে দেন বলেও অভিযোগ। পুলিশ এবং বিডিও-র প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গেলেও লাভ হয়নি।

আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের দাবিতে তৃণমূলের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের দাবিতে তৃণমূলের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বসিরহাট শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৪ ০১:৫৭
Share: Save:

বেহাল রাস্তার প্রতিবাদে ও আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের দাবিতে দেগঙ্গার চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ অন্যান্য কর্মীদের ঘরে তালা বন্ধ করে সোমবার দুপুর থেকে প্রায় চার ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। সোমবার বিক্ষোভকারীরা ওই পঞ্চায়েত অফিসের বিদ্যুতের মেন সুইচ অফ করে দেন বলেও অভিযোগ। পুলিশ এবং বিডিও-র প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গেলেও লাভ হয়নি। পরে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পঞ্চায়েত প্রধান নমিতা দাস দ্রুত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করে পদক্ষেপ করার প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষোভকারীরা শান্ত হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাম এবং কংগ্রেস পরিচালিত দেগঙ্গার চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের একাধিক রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। এবড়ো খেবড়ো কাদায় ভরা ওই রাস্তায় চলতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। বার বার পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এলাকার কেয়াডাঙা চাঁদপুর প্রাথমিক স্কুল, মাদ্রাসা এবং পারুলিয়া হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং অভিভাবকেরা দু’দুবার চাঁপাতলা পঞ্চায়েত ভবনের শাটার ফেলে বিক্ষোভ দেখায়। এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ ব্লক তৃণমূল নেতা হুমায়ুন রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে দলীয় সমর্থকেরা চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে নানা অভিযোগ নিয়ে গিয়েছিলেন। বুধবার স্মারকলিপি দেওয়ার দিনও ধার্য করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, প্রধান ওই দিন স্মারকলিপি নিতে অস্বীকার করায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে জনতা। পঞ্চায়েত অফিসের গেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। ইতিমধ্যে অত্যুৎসাহী কিছু তৃণমূল কর্মী ওই অফিসের বিদ্যুতের মেন সুইচ বন্ধ করে দিলে ঘর অন্ধকার হয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় দেগঙ্গা থানায়। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও লাভ হয়নি। ততক্ষণে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে চট পেতে বসে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। বিডিওর প্রতিনিধিরাও ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের দাবি করতে থাকেন, বিডিও না আসা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে। শেষে প্রধান নমিতা দাস এবং পঞ্চায়েত সেক্রেটারি নিরঞ্জন ঘোষ দাবির বিষয়গুলি নিয়ে দ্রুত আলোচনা করে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিলে সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ ঘেরাও ওঠে।

এ বিষয়ে ব্লক তৃণমূল নেতা হুমায়ুন রেজা চৌধুরী বলেন,‘‘রাস্তার কাজ হচ্ছে না। পানীয় জল পাওয়া যাচ্ছে না। পঞ্চায়েত থেকে দেওয়া শংসাপত্রে ভুল থাকছে। অথচ এ সব বিষয়ে আমরা স্মারকলিপি দেব বললে তা নিতে অস্বীকার করেন প্রধান।”

জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএমের ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, “তৃণমূল কর্মীরা যে ভাবে বিক্ষোভ দেখালেম, তার তীব্র নিন্দা করছি আমরা।” নমিতাদেবী বলেন, “বুধবার আমার জরুরি একটি কাজ ছিল। তাই পরের দিন স্মারকলিপি নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওঁরা সে সব না শুনেই বিক্ষোভ করলেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE