Advertisement
২১ মে ২০২৪

পথ অবরোধে সামিল প্রতিবন্ধী

বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে বসিরহাট কলেজের কাছে টাকি রোড অবরোধ করলেন প্রতিবন্ধীরা। বুধবার, বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে বেলা ১১টা নাগাদ পোস্টার, মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে রাস্তার উপরে চেয়ার পেতে বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে অবরোধ চলে। তীব্র যানজটে নাকাল হন বহু মানুষ।

টাকি রোড আটকে বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র।

টাকি রোড আটকে বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:১৭
Share: Save:

বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে বসিরহাট কলেজের কাছে টাকি রোড অবরোধ করলেন প্রতিবন্ধীরা। বুধবার, বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে বেলা ১১টা নাগাদ পোস্টার, মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে রাস্তার উপরে চেয়ার পেতে বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে অবরোধ চলে। তীব্র যানজটে নাকাল হন বহু মানুষ।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ট্রেনে ৩ শতাংশ আসন প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকার কথা থাকলেও তাঁরা রিজার্ভেশন পান না। বাসে উঠেও শুনতে হয় গালিগালাজ। শুধু তাই নয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়া যায় না। এমনকী, প্রতিবন্ধী শংসাপত্র নিতে গেলেও সরকারি দফতরে চরম হয়রানির শিকার হতে হয়। সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েও চাকরি দেওয়া হয় না। চাকরি পেলেও কর্মক্ষেত্রে কোনও বিশেষ সুবিধা তাঁরা পান না বলেও অভিযোগ।

ভাল ভাবে হাঁটতে পারেন না গোপাল মণ্ডল, নীলিমা মণ্ডলরা। তাঁরা বলেন, “হাসপাতালে থাকা দালাল চক্রের জন্য প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও আমাদের শংসাপত্র মেলে না। নেতা থেকে শুরু করে সরকারি আমলা প্রত্যেকেই এসে প্রতিবন্ধীদের ভাল থাকার কেবল প্রতিশ্রুতি দেন। অথচ কার্যত তা হয় না।” দৃষ্টিহীন দেবব্রত জানার। যে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃত্বে এ দিন অবরোধ হয়েছে, তিনি সেই সংগঠনের সম্পাদক। দেবব্রতবাবু বলেন, “আমাদের মতো অসহায় মানুষগুলিকে নিয়ে শুধু রাজনীতি হয়। এখন সরকারি চাকরি তো দূরের কথা, কুটিরশিল্পেও কোনও রকম সাহায্য পাই না। এই দাবি আদায়ের জন্যই পথে নেমে অবরোধ করা হয়েছে। আমাদের দাবি না মেটালে ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE