ভাঙড়ের কাঁঠালিয়ার রাস্তা। ছবি: সামসুল হুদা।
দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় দিনে দিনে তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। পিচ উঠে গিয়ে ইট বেরিয়ে গিয়েছে। রাস্তায় বড় বড় গর্ত হয়ে গিয়ে জল জমে ডোবার আকার নিয়েছে। গোটা রাস্তাটাই খানা খন্দে ভরা। এমনই অবস্থা হয়ে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের ৯১ নম্বর রুটের কাঁঠালিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজার পর্যন্ত। প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তায় প্রায়শই ঘটছে দূর্ঘটনা। কিন্তু তবুও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
জীবনের ঝঁুকি নিয়েই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয় বলে দাবি এলাকাবাসীর। অথচ রাস্তাটি এলাকার মানুষের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। কারণ এই রাস্তার পাশে রয়েছে ভাঙড়-২ ব্লক অফিস, রেজিষ্ট্রি অফিস, বিএলআরও অফিস, স্কুল পরিদর্শকের অফিস এবং বাজার। এই রাস্তা খারাপ হওয়ায় নিত্য দুর্ভোগের মুখোমুখি হতে হয় কাঁঠালিয়া, ভাঙড়, ভুমরু, শোনপুর, কাশিপুর, পোলের হাট-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে। স্থানীয় বাসিন্দা রিজিয়া বেগম, আরেফুল বেগম, পলাশ মণ্ডলরা বলেন, “রাস্তার যা অবস্থা তাতে পথ চলতে খুবই অসুবিধায় পড়তে হয়। কিন্তু রাস্তা সংস্কারের ব্যপারে প্রশাসন উদাসীন। এই রাস্তায় রিক্সা করে যেতে কোমর ব্যাথা হয়ে যায়।”
অন্যদিকে ভাঙড় ১ ব্লকের ভাঙড় থানা থেকে ঘটকপুকুর পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা এবং ভাঙড় থানা থেকে কলেজে যাওয়ার প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তারও একই অবস্থা। এই সমস্ত রাস্তাগুলি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ার ফলে স্থানীয় মানুষ ভীষণ ক্ষুব্ধ। অভিযোগ, ভাঙড়ের এই সমস্ত রাস্তাগুলির অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। এই রাস্তাগুলির উপরে আছে থানা, ব্যঙ্ক, স্কুল, কলেজ, পোস্ট অফিস-সহ নানা সরকারি-বেসরকারি অফিস। ফলে নিত্য প্রায় লক্ষধিক মানুষ এই সমস্ত রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। এক পুলিশ কর্মী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, “রাস্তার যা অবস্থা কোথাও কোনও গণ্ডগোল বাঁধলে দ্রুত যাওয়া যায় না। রাস্তার কারণে প্রায় গাড়ি খারাপ হয়ে যায়।” স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জীব ঘোষ রামকুমার পাল বলেন, “ভাঙড়ের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি রাস্তাই দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। মাঝে মধ্যে রাস্তার মাঝে তৈরি হওয়া গর্তগুলিতে ইট ফেলে জোড়া দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না।”
এ প্রসঙ্গে বারুইপুর মহকুমা শাসক পার্থ আচার্য বলেন, “আমি সংস্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি দ্রুত রাস্তাগুলি মোরামত করার জন্য।” জেলা পরিষদ পূর্তের কর্মধ্যক্ষ আবু তাহেব সর্দার বলেন, “ভাঙড়ের রাস্তাগুলি যে খারাপ তা আমাদের নজরে আছে। দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। বর্ষার কারণে কাজ শুরু করা যায়নি। এবার কাজ শুরু করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy