নিজের পাড়ায়। নিজস্ব চিত্র।
কাপ-মেডেল রাখার জন্য আলমারি আর খেলা দেখার জন্য টিভি পৌঁছলো কমনওয়েলথে ব্রোঞ্জ জয়ী সাকিনা খাতুনের বাড়িতে।
গত রবিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে বসিরহাটের কোড়াকাটা গ্রামে সাকিনার বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সে সময়ে সাকিনার মা নুরজাহান এবং বাবা সিরাজুল গাজি দেখান, কী ভাবে কৌটোর মধ্যে মেয়ের কাপ-মেডেল ভরে রেখেছেন তাঁরা। দরিদ্র পরিবারে আসবাবপত্র তেমন নেই। এ সব দেখে জ্যোতিপ্রিয়বাবু জানিয়ে যান, আলমারি এবং মেয়ের খেলা দেখার জন্য টিভি পাঠাবেন। বুধবার সেই সঙ্গে দু’টি ফ্যান এবং ফুটবল পাঠানোয় রীতিমতো খুশি নুরজাহান।
জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “সাকিনা ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সাকিনার প্রশিক্ষণ ও পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব নেবে রাজ্য সরকার।” বেঙ্গালুরুতে প্রশিক্ষণরত সাকিনাকে ফোন করে জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “তুমি যেখানে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে চাও জানালে, রাজ্য সরকার তার সব রকম ব্যবস্থা করতে প্রস্তুত।”
সাকিনা মন্ত্রীর ফোনে জানতে পারেন, তাঁর বাড়িতে ঢোকার কংক্রিটের রাস্তা হচ্ছে। বিদ্যুৎ সংযোগ এসেছে। অন্তোদয় অন্নপূর্ণা যোজনায় চাল-গম-চিনির ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। সাকিনাকে মন্ত্রী বলেন, “তোমার পরিবারকে দেখার দায়িত্ব আমাদের। তুমি শুধু আমাদের জন্য একটা সোনার পদক এনে দাও।”
সাকিনা কমনওয়েলথ জয়ের পরে গ্রামে ফেরার সময়ে আনন্দবাজার লিখেছিল, শহর আলো করে ফিরলেও গ্রামে ঢোকার মুখে কাদা মাড়িয়ে অন্ধকার রাস্তা দিয়ে বাড়িতে আসতে হয় সাকিনাকে। এরপরেই স্থানীয় সাংসদ ইদ্রিস আলি ও বিধায়ক এটিএম আব্দুল্লা রনি কোড়াপাড়া বাজার থেকে সাকিনাদের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা কংক্রিটের করার ব্যবস্থা করেন। সাকিনাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগও আসে। তবে রাস্তার অধিকাংশ অংশ ঢালাই হয়ে গেলেও বাকিটা কয়েক দিনের মধ্যে হয়ে যাবে বলে জানান বিধায়ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy