Advertisement
E-Paper

বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় ধৃত দালাল

বিস্ফোরক এবং বিস্ফোরকের মশলা কেনাবেচার দালাল বলে অভিযুক্ত সেই মুস্তাফা শেখ ওরফে বোম মুস্তাফাকে শনিবার ওড়িশায় গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:০৬
লালবাজার জানিয়েছে, ধৃতের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে।

লালবাজার জানিয়েছে, ধৃতের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে।

টালা সেতু থেকে বিস্ফোরক বোঝাই ম্যাটাডর ভ্যান উদ্ধারের পর থেকে সে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। বিস্ফোরক এবং বিস্ফোরকের মশলা কেনাবেচার দালাল বলে অভিযুক্ত সেই মুস্তাফা শেখ ওরফে বোম মুস্তাফাকে শনিবার ওড়িশায় গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। লালবাজার জানিয়েছে, ধৃতের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে। ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় এনে রবিবার তাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ জানাচ্ছে, ওড়িশার রূপসার একটি বেআইনি রাসায়নিকের দোকান থেকে বিস্ফোরক রাসায়নিক কিনে এ রাজ্যের বিভিন্ন দুষ্কৃতীর ডেরায় সরবরাহ করত মুস্তাফা। তার কাছে সেই সব দুষ্কৃতী সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। মুস্তাফার বাড়ি দাঁতনের তুরকা এলাকায়। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ইদানীং সে ওড়িশা থেকে বাজি এনে ব্যবসা চালাত। কয়েক দিন আগে নারায়ণগড়ের হেমচন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতে দেবব্রত খাঁকারির বাড়িতে বিস্ফোরণের পরে সে বাজি তৈরি বন্ধ করে দেয়। পুলিশবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কিছুই পায়নি।

৮ মার্চ রাত সওয়া ১২টা নাগাদ টালা সেতুতে একটি ম্যাটাডর ভ্যানকে আটক করে এসটিএফ। তাতে এক হাজার কিলোগ্রাম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট পাওয়া যায়। বোমা তৈরির কাজে লাগে ওই রাসায়নিক। পাকড়াও করা হয় ভ্যানের চালক ও খালাসিকে। তাদের জেরা করে উত্তর ২৪ পরগনায় এই ধরনের রাসায়নিক সামগ্রীর মজুতদার রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। বৈধ নথিপত্র ছাড়া বিস্ফোরক বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার হয় রূপসার সেই দোকানের মালিক সুকান্ত সাহুকে। গোটা ঘটনায় বিস্ফোরকের মশলা কেনাবেচার দালাল হিসেবে মুস্তাফার নাম উঠে এসেছিল। কিন্তু তার খোঁজ মিলছিল না। তদন্তে জানা যায়, এ রাজ্যে দুষ্কৃতীদের বিভিন্ন দলের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে। বোমার মশলা জোগাড়ে সে সিদ্ধহস্ত বলে অন্ধকার জগতে তার নাম ‘বোম মুস্তাফা’।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

লোকসভা নির্বাচনের আগে খাস কলকাতায় বিস্ফোরক বোঝাই ভ্যান উদ্ধারের পরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। পুলিশি সূত্রের দাবি, সম্প্রতি আরও কয়ের বার মহানগরীর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন জেলায় বিস্ফোরক পাচার হয়েছে। এই বিস্ফোরক মূলত হাতবোমা (দুষ্কৃতীদের ভাষায় ‘পেটো’) তৈরিতে কাজে লাগে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বিভিন্ন জেলায় বহু বোমাবাজি হয়। এ বারের ভোটেও সেই উপদ্রবের আশঙ্কা আছে কি না, প্রশ্ন তুলছেন নাগরিকেরা। তবে পুলিশি সূত্রের দাবি, নির্বাচন ঘোষণার আগে থেকেই বিভিন্ন জেলা ও শহরে দুষ্কৃতী দমন অভিযান চলছে। বেআইনি অস্ত্র, বোমা উদ্ধারও হচ্ছে।

টেলে সেতুতে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় পাঁচ জন গ্রেফতার হলেও দুষ্কৃতীদের কোন কোন দলের কাছে বিস্ফোরক পৌঁছত, রবিবার পর্যন্ত সেই তথ্য প্রকাশ করেনি লালবাজার। সংশ্লিষ্ট দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হয়েছে কি না, তারও উত্তর মেলেনি।

Explosive
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy