প্রতীকী ছবি।
দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ রক্ষার পাঠ দেওয়া হচ্ছে স্কুল-মাদ্রাসার পড়ুয়াদের। এ বার তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে জল সংরক্ষণের পাঠও। এবং সেটা শুধু খাতায়-কলমে নয়, হাতে-কলমেও। পরিবেশ রক্ষা এবং জল সংরক্ষণ করতে রাজ্যের ৫৮২টি মাদ্রাসার প্রতিটিতে ৫০টি গাছ লাগানো এবং একটি করে পুকুর কাটার নির্দেশ দিয়েছেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিকর্তা আবিদ হোসেন। এই বর্ষাতেই যাতে জল ধরে রাখা যায়, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জন্য সব মাদ্রাসাকে।
কে কাটবে পুকুর? মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, খেলার মাঠ উন্নত করা, গাছ লাগানো এবং পুকুর কাটার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর থেকে প্রতিটি মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষকে দু’লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে। আর পুকুর কাটার জন্য পঞ্চায়েত দফতরের ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের সাহায্য নেওয়া হবে। ছাত্রছাত্রীরা পুকুরে যাতে পড়ে না-যায়, সেই জন্য পুকুরের চার পাশ ঘিরে দেওয়া হবে।
মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের মাদ্রাসাগুলিতে বেশি জমি নেই। তবে গ্রামের সব মাদ্রাসারই পাঁচ থেকে ছয় একর জমি আছে। গ্রামীণ মাদ্রাসাগুলিতে পুকুর কেটে জল ধরে রাখতে হবে। সেই জল মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা শৌচালয়ে ব্যবহার করতে পারবে। আবিদ বলেন, ‘‘চেন্নাইয়ে এ বার পানীয় জলের সঙ্কট চরমে উঠেছে। জলের অপচয় ঠেকিয়ে সংরক্ষণ করতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পে জল ধরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। সব দিক বিবেচনা করে মাদ্রাসায় পুকুর কেটে জল ধরে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’
মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের এক শীর্ষ কর্তা জানান, পরিদর্শনে দেখা গিয়েছে, অনেক মাদ্রাসায় কলের মুখ খোলা। কল দিয়ে জল পড়েই চলছে। জলের অপচয় হচ্ছে। মাদ্রাসা-কর্তৃপক্ষকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। শিক্ষক ও পড়ুয়ারাও যাতে সজাগ থাকেন, সে-দিকেও লক্ষ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাদ্রাসা-কর্তৃপক্ষকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy