পৃথক দুর্ঘটনায় উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে মিলিয়ে প্রাণ গেল ১১ জনের।
রবিবার সকালে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির হাতিমারি মোড়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। একটি ছোট যাত্রিবাহী গাড়ি ও ট্রাকের মুখোমুখি ধাক্কা লাগলে মৃত্যু হয় চার জনের। তাঁরা হলেন: ছোট গাড়ির ইমান আলি (৩২), শীতল মাহাতো (৪২), খোকন মাহাতো (২৬) ও তারক মাহাতোর (৩১)। গুরুতর আহত অনন্ত হাঁসদাকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তিনি মারা যান। মৃতেরা সকলেই শালবনি থানার মৌপালের বাসিন্দা। গাড়ি চালাচ্ছিলেন ইমান।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে তাঁরা চন্দ্রকোনা রোডে বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন। রবিবার সকালে ফিরে আসেন। পথে মনে পড়ে, কিছু জিনিস বিয়েবাড়িতে থেকে গিয়েছে। তা আনতে ফের চন্দ্রকোনা রোড রওনা দেন। তখনই ঘটে দুর্ঘটনা।
শনিবারই রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ গাইঘাটার গদাধরপুরে দুর্ঘটনায় মারা যান তিন বন্ধু। একটি মোটরবাইকে যাচ্ছিলেন স্থানীয় ওই তিন যুবক। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকটি ধাক্কা মারে একটি বন্ধ চা-দোকানে। ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান উৎপল পাণ্ডে, পিন্টু মণ্ডল ও শম্ভু বিশ্বাস। সকলেরই বয়স ২০-২২।
রবিবার দুপুরে নদিয়ার তেহট্টের শ্যামনগরে বাসের ধাক্কায় এক মোটরবাইক আরোহীর মৃত্যু হল। মৃত দিলীপ হালদার (৪২)-এর বাড়ি তেহট্টের জিতপুর হাবড়িপাড়ায়। এ দিন দুপুরে দিলীপবাবু মোটরবাইকে তেহট্ট বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। আচমকা উল্টো দিক থেকে আসা বাস তাঁকে ধাক্কা মারে।
এ দিনই মালদহে পিকআপ ভ্যান উল্টে গুরুতর জখম হয় নব দম্পতি-সহ ২৫ জন বরযাত্রী। ভোরে বামনগোলার মহেশপুরের ঘটনা। চার শিশু এবং নব দম্পতি-সহ ১৪ জনের আঘাত গুরুতর। জখমরা চিকিৎসাধীন রয়েছে মালদহ মেডিক্যালে। বাকিরা ভর্তি মদিপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে। রবিবার দুপুরে হাওয়া ভরার সময় ট্রাকের চাকা ফেটে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে শিলিগুড়ির কাছে জটিয়াকালিতে। চালক চিকিৎসাধীন। মৃতদের পরিচয় জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy