যাত্রীরা বিমানে উঠে পড়েছেন। পাইলটও ককপিটে বসে। কিন্তু বিমান উড়তে পারছে না। কেন? ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা কমে গিয়েছে যে!
দিল্লি থেকে হাওড়া কিংবা শিয়ালদহের উদ্দেশে রওনা দেওয়া ট্রেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কেন? সেই ঘন কুয়াশা। দূরপাল্লার ট্রেন ৭-৮ ঘণ্টা লেট!
কবে কুয়াশা হবে আর কবে হবে না, এখন তার একটা সাধারণ পূর্বাভাস দেওয়া হলেও কার্যক্ষেত্রে সেটা বিশেষ কার্যকর হয় না। কেননা কুয়াশা হলে তা কতটা গাঢ় হবে বা কতটা হাল্কা, সেটা নির্দিষ্ট করে বলতে পারে না আবহাওয়া দফতর। ফলে সেই কুয়াশায় বিমান বা ট্রেন চালানো যাবে কি না, বিমান পরিবহণ বিভাগ বা রেল নির্দিষ্ট ভাবে তা জানতে পারে না। সেই জন্য কোনও রকম আগাম পরিকল্পনা করতে পারে না তারা।
এত দিনে সেই পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। ব্যবস্থা বদল করে এ বার কুয়াশার পূর্বাভাস অনেকটা নির্দিষ্ট ভাবে দিতে চাইছে মৌসম ভবন। ওই সংস্থার কর্তাদের দাবি, নতুন ব্যবস্থায় পাঁচ দিন আগে থেকেই কুয়াশার খবর আরও নির্দিষ্ট ভাবে দেওয়া সম্ভব। এই কাজে যুক্ত আছে কানপুর আইআইটি, স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার, বিআইটি মেসরা, বায়ুসেনা, পুণের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল মেটেরিওলজিও।
মৌসম ভবনের খবর, বিভিন্ন বিমানবন্দর-সহ দেশের কুয়াশাপ্রবণ জায়গা থেকে বাতাসের জলীয় বাষ্প ও তাপমাত্রার তথ্য নেওয়া হবে। বিমান ও রেল পরিবহণের জন্য নির্দিষ্ট ভাবে কুয়াশার পূর্বাভাস দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে সেই সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণ করেই। আজ, বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) থেকে এই কাজ চলবে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ‘‘আপাতত কলকাতা, গুয়াহাটি, আগরতলা, মোহনবাড়ি, পটনা, ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরের তথ্য বিশ্লেষণ করে কুয়াশার পূর্বাভাস দেওয়া হবে,’’ বলেন মৌসম ভবনের বিমান পরিবহণ শাখার পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ। উত্তরবঙ্গ, অসমেও কুয়াশার জেরে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, নতুন ব্যবস্থায় আরও নির্দিষ্ট ভাবে কুয়াশার পূর্বাভাস দেওয়া যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy