Advertisement
১৯ মে ২০২৪

যাদবপুরের পর নোটা-র দাপট প্রেসিডেন্সিতেও

কয়েক দিন আগে এ রাজ্যের ছাত্রভোটে খাতা খুলেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চার-ছয় হাঁকিয়েছিল ‘নোটা’। সোমবার তাকে স্বমূর্তিতে দেখা গেল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েও। শুধু ছাত্র সংসদের পাঁচ কর্তা-কর্ত্রীর পদেই নোটায় ভোট পড়েছে ৫৮৩টি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:৪৫
Share: Save:

কয়েক দিন আগে এ রাজ্যের ছাত্রভোটে খাতা খুলেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চার-ছয় হাঁকিয়েছিল ‘নোটা’। সোমবার তাকে স্বমূর্তিতে দেখা গেল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েও। শুধু ছাত্র সংসদের পাঁচ কর্তা-কর্ত্রীর পদেই নোটায় ভোট পড়েছে ৫৮৩টি। ক্লাস-প্রতিনিধি নির্বাচনে নোটা কত ভোট পেয়েছে, তা এ দিন জানা যায়নি।

প্রেসিডেন্সি সূত্রের খবর, ভোট দিতে আসা পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল বেশ কম। খাতায়-কলমে ভোটার-সংখ্যা ২৪৭৮। এসেছিলেন ১৪৩০ জন। অর্থাৎ মোট পড়ুয়ার মাত্র ৫৮ শতাংশ ভোট দিয়েছেন। মোট ভোটের নিরিখে নোটা (ভোটাধিকার প্রয়োগ করেই তালিকার কোনও প্রার্থীকে পছন্দ নয় বলে জানিয়ে দেওয়া)-র একক প্রাপ্তি খুবই উল্লেখযোগ্য। রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার জানান, ছাত্র সংসদের সভাপতি-পদে ১১৭টি, সহ-সভাপতির পদে ১২৮টি, সাধারণ সম্পাদক-পদে ১৩৮টি, সহকারী সাধারণ সম্পাদক পদে ১৭১টি এবং ছাত্রীদের কমন রুমের সম্পাদিকার পদে ২৯টি ভোট পড়েছে নোটায়।

ছাত্র সংসদ এ বারেও ধরে রেখেছে নির্দল ইন্ডিপেন্ডেন্টস কনসলিডেশন (আইসি)। ছাত্র সংসদের পাঁচটি পদই দখল করেছে তারা। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল এসএফআই। ক্লাস-প্রতিনিধি নির্বাচনে ১০২টির মধ্যে ৬৩টি আসন পেয়েছে আইসি। এসএফআইয়ের দাবি, ছাত্র সংসদের বিভিন্ন পদে গত বছরের তুলনায় এ বার আইসি-র সঙ্গে তাঁদের প্রার্থীদের ভোটের ব্যবধান অনেকটাই কমেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, এ দিন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলে। বাইরের কাউকেই ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সময় পেরিয়ে যাওয়ায় বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র না-থাকায় ভোট দেওয়ার জন্য ঢুকতে পারেননি কিছু পড়ুয়া। ফটক টপকে কয়েক জন ঢুকলেও তাঁদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি।

কম ভোটের ব্যাপারটা ভাবাচ্ছে শিক্ষা শিবিরকে। এ বার কম ভোট পড়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও। তবে শিক্ষা মহলের মতে, কলকাতা ও প্রেসিডেন্সির ছাত্রভোটের আবহ এক নয়। ভোটের কয়েক দিন আগেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে টিএমসিপির গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষ বেধেছিল। তাতে সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন সাধারণ পড়ুয়ারা। সেটা ভোটের দিন কম হাজিরার অন্যতম প্রধান কারণ। কিন্তু প্রেসিডেন্সিতে কম হাজিরার এমন কারণ ছিল না। তবু ভোটে সে-ভাবে সাড়া মেলেনি।

ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশনে (কলেজ) ফের জিতেছে এসএফআই। ২২টি আসন পেয়েছে টিএমসিপি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE