দিন কয়েক আগেই কংগ্রেসকে পচা ডোবার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল তৃণমূলের মুখপত্রে। বুধবার সম্পাদকীয় স্তম্ভে ফের একবার কংগ্রেসকে আক্রমণ শানানো হল। এ বার গোয়া কংগ্রেসের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করেই আক্রমণ শানানো হয়েছে। কী পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের নেতা তথা গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন, তারও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে তৃণমূল যে কংগ্রেসের অন্দরের ভাঙন আরও তরান্বিত করবে, তারও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে সম্পাদকীয় স্তম্ভে। লেখা হয়েছে, ‘রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিধায়ক লুইজিনহো ফেলেরো ইস্তফা দিয়েছেন। কংগ্রেস ছাড়ছেন। তৃণমূল কংগ্রেসকে বৃহত্তর কংগ্রেস পরিবার বলছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছেন। আগামী কয়েকদিনে আরও কিছু ঘটবে।’ আরও লেখা হয়েছে, ‘গোয়ায় এখন তৃণমূল কংগ্রেসের পদধ্বনি স্পষ্ট।’ প্রসঙ্গত, বুধবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে ফেলেরো এবং গোয়া কংগ্রেসের আরও চারজন নেতা তৃণমূলে যোগ দেবেন। ইতিমধ্যে গোয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সম্বলিত হোর্ডিং দিয়েও প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল।
সম্পাদকীয় স্তম্ভে লেখা হয়েছে, ‘কংগ্রেস নেতৃত্ব এসে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ শুরু করেছে। আমাদের প্রশ্ন, কংগ্রেস, এতদিন তোমরা কোথায় ছিলে? কেন বিজেপি-কে এতদিন নিশ্চিন্তে থাকতে দিয়েছ? তোমরা চিরদিন লড়বে বলে জায়গা আটকে রাখবে আর তারপর ডুবিয়ে দিয়ে বিজেপি-কে সুবিধা করে দেবে। এটা আর হবে না।’ দেশে বিজেপি-র বাড়বাড়ন্তের জন্য একক ভাবে দায়ী করা হয়েছে কংগ্রেসকেই। এআইসিসি নেতৃত্বকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে আরও লেখা হয়েছে, ‘তৃণমূলকে কেন আক্রমণ? গোটা দেশে তোমাদের ব্যর্থতার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস দায়ী? রাজ্যে রাজ্য তোমরা ব্যর্থ। তৃণমূল দায়ী?’