Advertisement
০৪ মে ২০২৪
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়

ফের ফলে ভুল, বিক্ষোভ-ঘেরাও

পার্ট ২-এর ভুলে ভরা ফলাফলের সম্পূর্ণ সংশোধন এখনও হয়নি, তার মধ্যেই পার্ট ৩-এর ফলাফলেও ভুল থাকার অভিযোগ উঠল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। পার্ট ২-এর ফল বেরোনোর পরে ছাত্রছাত্রীরা বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, রাজ্যপালের কাছেও পৌঁছেছিল প্রতিবাদ।

পরীক্ষা নিয়ামকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

পরীক্ষা নিয়ামকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৫ ০১:৫৬
Share: Save:

পার্ট ২-এর ভুলে ভরা ফলাফলের সম্পূর্ণ সংশোধন এখনও হয়নি, তার মধ্যেই পার্ট ৩-এর ফলাফলেও ভুল থাকার অভিযোগ উঠল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে।

পার্ট ২-এর ফল বেরোনোর পরে ছাত্রছাত্রীরা বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, রাজ্যপালের কাছেও পৌঁছেছিল প্রতিবাদ। তারপরেও বারবার সংশোধনের আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনও অনেক পড়ুয়াই সংশোধিত ফলাফল পাননি বলে অভিযোগ। প্রকাশিত হয়নি পার্ট ২-এর রিভিউয়ের ফলাফলও। তার মধ্যেই আবারও ভুল ফল বেরোনোয় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো নিয়েই।

কয়েরদিন আগে ওয়েবসাইটে বিএ, বিকম এবং বিএসসি পার্ট ৩-এর ফল বেরেনোর পরে তাতে ভুল রয়েছে অভিযোগ তোলেন ছাত্রছাত্রীরা। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামকের দফতরের সামনে দুপুরে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। তাঁকে কয়েক ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখাও হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশও। পরে পরীক্ষা নিয়ামক দিপক সোম বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সংশোধিত ফল প্রকাশের আশ্বাস দেন। ঘেরাও উঠে যায়।

বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, কয়েকদিন আগে ওয়েবসাইটে ফল বেরোনোর পরে দেখা যায় অনেকের নম্বরে ভুল রয়েছে কিংবা নম্বর অসম্পূর্ণ। এরপরেই বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের আক্ষেপ, ‘‘পার্ট ২-এর ফলে ভুল বেরোনোর পরে এত প্রতিবাদ হল, বারবার শহরের নানা জায়গায় অবরোধ, বিক্ষোভ দেখানো হল, রাজ্যের অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও পড়ুয়ারা এসে যোগ দিলেন প্রতিবাদে। তারপরেও আবারও ভুলে ভরা ফলাফল বের করল বিশ্ববিদ্যালয়।’’ হুগলি মহসীন কলেজের এক ছাত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দ্বিতীয় বর্ষের ফলই সংশোধিত হল না, তার মধ্যেই তৃতীয় বর্ষের ফলেও ভুল ধরা পড়ল। আমাদের ভবিষ্যত নষ্ট করছে বিশ্ববিদ্যালয়।’’ আর এক ছাত্র হাটগোবিন্দপুরের বিএন দত্ত কলেজের হিমাদ্রী দত্ত বলেন, ‘‘বিএসসি পার্ট ৩-এর ফলাফল দেখে ছাত্রছাত্রীদের মাথায় হাত। কম নম্বর শুধু নয়, পরপর একই নম্বর পেয়েছে বহু ছাত্রছাত্রী।’’ ওই পড়ুয়াদের দাবি, ওয়েবসাইটে ফলাফলটিকে ‘প্রভিশনাল’ (পরে সংশোধিত হতে পারে) বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, ওই ফলাফলের ভিত্তিতে কোথাও ভর্তি হওয়া যাবে না। পরে রিভিউ করে নম্বর বাড়াকমা হলে মুশকিলে পড়তে হবে। মার্কশিট দেওয়া হলে তা নেবেন না বলেও দাবি করেন পড়ুয়ারা।

ভুলের কথা মেনে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। পরীক্ষা নিয়ামক জানান, পার্ট ৩-এর ফলে কিছু গোলমাল রয়েছে। রিভিউ করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, একটি বিশৃঙ্খল প্রক্রিয়াকে সংশোধন করতে কি‌ছু সময় দরকার। তারপরেও ভুল থাকলে তদন্ত করা হবে। দীপকবাবু বলেন, ‘‘যদি কোনও কর্মী দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তিনি আরও জানান, এখন থেকে ৩টি বিষয়ে রিভিউ করা হওয়ায় একটু দেরি হচ্ছে। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই পার্ট ২-এর রিভিউয়ের ফলাফল প্রকাশিত হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE