রাজাবাজারে সিএএ-বিরোধী প্রতিবাদসভা। —নিজস্ব চিত্র।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ থমকে গিয়েছিল করোনা পরিস্থিতিতে। সিএএ-বিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে এর মধ্যে বিভিন্ন মামলা রুজু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই বিল পাশের এক বছর পূর্তিতে ফের শুরু হল প্রতিবাদ। শহরে প্রতিবাদ-সভা থেকে দাবি করা হল, নাগরিকত্ব আইনের বিধি প্রণয়ন করা যাবে না এবং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
নাগরিকপঞ্জি-বিরোধী যুক্ত মঞ্চের ডাকে শনিবার সভা ছিল রাজাবাজারে। সেখানে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, নাগরিকত্ব আইনের উপরে বিধি প্রণয়ন করার চেষ্টা হলে ফের রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু হবে। রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় যে ভাবে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, তারও প্রতিবাদ করেছেন বক্তারা। তাঁদের বক্তব্য, নতুন আইনে ‘নাগরিকত্ব দেওয়া’র বিষয়টি একেবারেই ভাঁওতা। এই আইনে প্রমাণ-সহ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হবে, যা বেশির ভাগ উদ্বাস্তুই করতে পারবেন না।
যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক প্রসেনজিৎ বসু বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটের মুখে আরএসএস-বিজেপি নাগরিকত্বের প্রলোভন দেখিয়ে, সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করে বাংলায় ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সব মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছি এই সর্বনাশা আইনের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্য।’’ উমর ওয়েইস, অভীক সাহা, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মঞ্জর জমিল-সহ সব বক্তাই ধর্ম, ভাষা, জাতি, বর্ণ বা জন্মস্থান নির্বিশেষে ভারতে বসবাসকারী সকলকে নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবি তুলেছেন। সিএএ-র বিরুদ্ধে শহরে মিছিলও হয়েছে শুক্রবার এবং এ দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy